চন্দন কাঠের পাচার চক্রের সন্ধান

চন্দন কাঠের আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের দিল্লির একটি ঘাঁটির খোঁজ পেল শিলিগুড়ি পুলিশ। গত ১৫ অগস্ট, শনিবার দিল্লির করোলবাগের চায়নাটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন মানের চন্দন কাঠ ও বহুমূল্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার পুলিশ।

Advertisement

সংগ্রাম সিংহ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৫ ০২:০০
Share:

চন্দন কাঠের আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের দিল্লির একটি ঘাঁটির খোঁজ পেল শিলিগুড়ি পুলিশ। গত ১৫ অগস্ট, শনিবার দিল্লির করোলবাগের চায়নাটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন মানের চন্দন কাঠ ও বহুমূল্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটে হানা দেওয়ার খবর পেতেই ফ্ল্যাটে থাকা পাঁচ চিনা নাগরিক পালিয়ে যান। সমস্ত তথ্য ইতিমধ্যে চিনের দূতাবাসকে জানানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১২ অগস্ট চিনের দু’জন নাগরিকের গাড়ি থেকে চন্দন কাঠের তক্তা ও গুঁড়ি পাওয়া যায়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এদের জেরা করেই দিল্লির ফ্ল্যাটটির হদিশ মেলে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘ধৃতদের জেরা করেই ওই ঘাঁটির সন্ধান পায় পুলিশ।’’ কমিশনার জানান, দিল্লির করোলবাগের বাসিন্দা ওই গাড়ি চালককে নিয়ে একটি দল দিল্লি যায়। তাকে নিয়েই ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে। খবর দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশকেও।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৭ অগস্ট ধৃত দুই চিনা ও গাড়ি চালক দিল্লির একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানেও পুলিশ চালককে নিয়ে যায়। তাকে শনাক্ত করে হোটেলের কর্মীরা। ওই হোটেলেই প্রতিবার ওই চিনা নাগরিকেরা গিয়ে উঠত বলে জানায় ওই চালক। সেখানেই পাচারের ছক কষা হত। মূলত জয়পুরের সবচেয়ে দামি ও উৎকৃষ্ট কাঠ নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হত ওই করোলবাগের ফ্ল্যাটে বসেই। তার পরে বিভিন্ন রুটে দেশের বাইরে পাচার করা হত। পাচারকারীদের পছন্দের রুট ছিল, শিলিগুড়ি হয়ে নেপালের পথে চিন। এর আগেও একাধিকবার এই রুটে পাচার করেছে বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন