অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক টোটো চালকের বিরুদ্ধে। সোমবার মালদহের ইংরেজবাজার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রী।
পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, ছুটির পর স্কুল থেকে টোটো করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে দিন ১৫ আগে মালদহ বিমানবন্দর সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি এলাকায় ছাত্রীটিকে প্রথম ধর্ষণ করে ওই টোটো চালক কৃষ্ণ রায়। এরপর তার ছবি তুলে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে পরবর্তীতে স্কুল ছুটির পর একাধিকবার তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কাউকে জানালে ছাত্রীর মা বাবা –সহ পরিবারের সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকিও দেয় কৃষ্ণ।
সোমবার বিকেলে ছাত্রীটি তার বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে ইংরেজবাজার মহিলা থানায় অভিযোগ করে। থানার আইসি আশালতা গোস্বামী বলেন, ‘‘ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। ছাত্রীটিকে এ দিনই মেডিকেল টেস্টের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত টোটো চালকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর বাড়িতে বাবা, মা ও এক বোন রয়েছে। মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। অভিযুক্ত টোটো চালক কৃষ্ণ রায়ের বাড়ি ছাত্রীটির বাড়ি কাছেই। সে বিবাহিত এবং দু’টি সন্তান রয়েছে তার। ছাত্রীটি বাড়ি থেকে স্কুলে টোটোতেই যাতায়াত করত। প্রতিবেশী হওয়ায় অভিযুক্ত যুবকের টোটোতেও মাঝেমধ্যে সে যাতায়াত করত বলে জানা গিয়েছে। স্কুল ছুটির পর প্রতিদিন স্কুলের সামনেই থাকত ওই টোটো চালক। ছাত্রীটির বাবার অভিযোগ, টোটোতে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করেই দিন ১৫ আগে মেয়েকে বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। তিনি বলেন,‘‘মেয়ের অশ্লীল ছবি মোবাইলে তুলে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। পরিবারের সবাইকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ায় মেয়ে বাড়িতে এতদিন ঘটনা জানানোর সাহস পায়নি। কাল পাড়ার এক দিদির কাছে মেয়ে সব খুলে বলে। পরে আমরা জানতে পারি। তাই এ দিন অভিযোগ দায়ের করলাম। প্রতিবেশী হয়েও ওই টোটো চালক আমার মেয়ের এমন যে সর্বনাশ করবে তা আমরা ভাবতেই পারছি না।’’ অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ওই ছাত্রীর মা-ও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক পলাতক। খোঁজ নেই তার পরিবারের সদস্যদেরও। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।