স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ বাড়ছে

অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ নিয়ে ওই সমস্ত রোগীরা এসেছিলেন। কিন্তু জেই পরীক্ষায় তাঁদের দেহে জীবাণু মেলেনি। পরে স্ক্রাব টাইফাস পরীক্ষায় জীবাণু থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩২
Share:

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ ঘটছে। তার মধ্যে দার্জিলিংয়ের লেবং, কার্শিয়াং, মিরিক, মাটিগাড়ার, ডুয়ার্সের বক্সিরহাট, গরুবাথান, জলঢাকা এলাকা থেকেও ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ নিয়ে রোগীরা এসেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ নিয়ে ওই সমস্ত রোগীরা এসেছিলেন। কিন্তু জেই পরীক্ষায় তাঁদের দেহে জীবাণু মেলেনি। পরে স্ক্রাব টাইফাস পরীক্ষায় জীবাণু থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বছর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের অন্তত ১০ জনের দেহে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু মেলে। আলিপুরদুয়ারেও স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

Advertisement

বছর তেরো আগে উত্তরবঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ প্রথম নজরে পড়ে চিকিৎসক পূরণ শর্মার। সে সময় তিনি কার্শিয়াঙের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি জানান, ‘‘২০০৪ সালে প্রথম আমরা ওই রোগ সংক্রমণের বিষয়টি সন্দেহ করি। পরে বাইরে নির্দিষ্ট জায়গায় নমুনা পাঠিয়ে জীবাণুটিকে চিহ্নিত করা হয়। চিকিৎসা শুরু করা হয়। এই জীবাণুর সংক্রমণে অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ ঘটে।’’ তিনি জানান, একটা ভাল দিক এই রোগ সারিয়ে তোলা যায়। জাপানি এনসফ্যালাইটিসের সংক্রমণের মতো নয়। তিনি জানান, তখন তাঁদের মনে সন্দেহ ছিল স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ শুধু কার্শিয়াং বা দার্জিলিঙে কেন হবে, অন্য জায়গাতেও হওয়া উচিত। এখন বোঝা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকাতেই এই রোগের জীবাণুর সংক্রমণ ঘটছে।

স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ হয়েছে কি না, বর্তমানে তা পরীক্ষা করে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ খতিয়ে দেখতে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের পাশাপাশি ওয়েস্ট নাইল, হারপিস সিমপ্লেক্স, স্ক্রাব টাইফাসের মতো জীবাণু সংক্রমণ হয়েছে কি না, গত বছর থেকে সেগুলিও পরীক্ষা করে দেখার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরও এইএসের সংক্রমণ নিয়ে আসা রোগীদের মধ্যে অন্তত ১২ জনের শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু মিলেছিল। এ বছরও মিলেছে।

পূরণবাবুর কথায়, জঙ্গলে, বাগানে কাজ করতে যাঁরা যান সাধারণ তাদের মধযে ‘টিক’ পোকার কামড়ে এই রোগের সংক্রমণ ঘটে। জঙ্গলে, ভেজামাটি, ভেজা কাঠ থেকে ওই টিক পোকা শরীরে যায়। সে কারণে বাসিন্দাদের সচেতন হতে হবে। কী ভাবে তা করতে হবে?

তিনি জানান, কাজ থেকে ফিরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ার পাশাপাশি পোশাকও ছেড়ে ফেলা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন