মদ্যপদের মার সম্পাদককেই

সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের মহেশপুর এলাকায়। আক্রান্ত সুদীপ দাস চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩২
Share:

প্রহৃত: মদ্যপদের হাতে মার খেলেন ক্লাব কর্তা। নিজস্ব চিত্র।

বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অভব্য আচরণ করতে নিষেধ করায় মদ্যপ সদস্যের হাতে আক্রান্ত হলে খোদ পুজো কমিটির সম্পাদক। এমনকী, মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রীও।

Advertisement

সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের মহেশপুর এলাকায়। আক্রান্ত সুদীপ দাস চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই দিনই রাতে ঘটনার পরিপেক্ষিতে মোট পাঁচ জনের নামে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্তের পরিবার। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ফেরার অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিশ্বনাথ মোড়ের জগলমন বাটীকা মেমোরিয়াল ক্লাবের এ দিন সন্ধেবেলা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। এলাকারই গাদুয়া মোড় ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক সুদীপ দাস সু্ষ্ঠু ভাবে শোভাযাত্রা নিয়ে যাচ্ছিলেন। সুদীপবাবু বিএসএনএল দফতরের অস্থায়ী কর্মী। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। সেই সময় পুজোর কমিটির পাঁচ সদস্য মদ্যপ অবস্থায় অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, শোভাযাত্রা চলাকালীন পুলিশের টহলদারি ভ্যান দেখে ওই যুবকদের স্থির থাকতে বলেন সুদীপবাবু। পরে বিসর্জন পর্ব মিটতেই সুদীপবাবুর উপরে ধনঞ্জয় দাস, সমীর দাস সহ পাঁচ যুবক চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁশ, লোহার রড দিয়ে মাথায় এবং শরীরে ব্যাপক আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সুদীপবাবুর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। ঘটনায় হইচই শুনে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দা সহ অন্য সদস্যেরা। তাঁরাই রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপবাবুর মাথায় দশটি সেলাই পড়েছে। সুদীপ বাবু বলেন, ‘‘এবারই আমি পুজোর দায়িত্ব নিয়েছি। সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন হয়েছে। তাই চেয়েছিলাম বিসর্জনও ভাল ভাবে মেটাতে। তবে ধনঞ্জয়েরা মদ্যপ অবস্থায় খুবই বাড়াবাড়ি করছিল। তাই তাদের নিষেধ করা হয়েছিল। তবে আমাদের মারধর করবে ভাবতে পারিনি।’’ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব চম্পটী বলেন, ‘‘পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন