দেবী: জলপাইগুড়ির বেলাকোবার নবদূত সঙ্ঘের প্রতিমা। শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে চলছে প্রস্তুতি। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
মণ্ডপের ভিড়ে নজরদারি চালাতে এ বার কোথাও পুলিশের হাতিয়ার ‘বুলেট’! আবার কোথাও ‘লিপস্টিক’। কোনও প্রয়োজনে ‘বুলেট’-‘লিপস্টিক’-এর স্মৃতি থেকেই মিলবে সূত্র। সৌজন্যে, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)। কারণ, এসজেডিএ-এর আর্থিক সহায়তায় শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, নকশালবাড়ি, মালবাজার, ময়নাগুড়ির বাছাই মণ্ডপে বসানো হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। সব মিলিয়ে ৮০টি। ওই অত্যাধুনিক ক্যামেরা ‘বুলেট’ ও ‘লিপস্টিক’ ক্যামেরা হিসেবেও পরিচিত।
শুক্রবার এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বুলেট ক্যামেরার ক্ষমতা বেশি। চেহারাটা বন্দুকের গুলি মানে বুলেটের মতো বলেই এমন নামকরণ। রাজ্যের অনেক হাসপাতালে ওই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোনও অপরাধের কিনারা করতে চটজলদি সূত্র মিলে যায়। সেটা দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা একটি সংস্থাকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরবরাহের দায়িত্ব দিয়েছি। তবে আমরা কিনিনি। ভাড়া নিয়ে পুলিশকে দিয়েছি।’’
এসজেডিএ-এর এক অফিসার জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময়েও অনেক সিসিটিভি ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। কিন্তু অত ক্যামেরা কিনে রাখা মানে অনেকটা টাকা ফেলে রাখা। সেইজন্য ক্যামেরা ভাড়া নেওয়ার জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে এসজেডিএ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড, শক্তিগড়, সুভাষপল্লি, হাকিমপাড়া, আশ্রমপাড়া, চম্পাসারি, নকশালবাড়ি, ফুলবাড়ি এলাকায় যে সব পুজোয় প্রচুর ভিড় হয় সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহরে তো বটেই, ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ, মালবাজারেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে পুলিশ। এই কাজের যাবতীয় খরচ দিয়েছে এসজেডিএ। পুলিশ জানিয়েছে, বুলেট সিসিটিভি ক্যামেরা মণ্ডপের কোথাও বসানো হলে অনেকটা এলাকার ছবি ধরে রাখতে পারে। একনাগাড়ে ১৫ দিনের ছবি ধরে রাখে বুলেট, লিপস্টিকের মতো ক্যামেরা। তাই কোথাও কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে সিসিটিভি ক্যামেরার সূত্রে দ্রুত দোষীদের ধরা হতে পারে বলেও পুলিশের একাংশের ধারনা। সে জন্যই ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে এসজেডিএ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো শুধু নয়, আগামী দিনে বড় মাপের যে কোনও উৎসবেই প্রয়োজন মতো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য পুলিশকে সহায়তা দেওয়া হবে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির কয়েকজন পুলিশ অফিসার জানান, তাঁরা নিজেরাও একাধিক ক্যামেরার ব্যবস্থা আগাম করেছেন। তার উপরে এসজেডিএ আর্থিক সহযোগিতা করায় পুরো কাজটা মসৃণ হয়ে গিয়েছে বলে তাঁরা জানান।