পুজোয় সীমান্তে বাড়ছে নিরাপত্তা

পুজোর মুখে জেলা পুলিশের এই তৎপরতায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পুজোর মরসুমে কোনও সংগঠনের জলপাইগুড়িতে নাশকতা ঘটানোর হুমকি রয়েছে? জেলার পুলিশ কর্তারা অবশ্য তেমন কথা মানতে চাননি৷ বরং তাঁদের দাবি, নিরাপত্তা বাড়াতে এটা নিয়মমাফিক কাজ৷ যে কোনও বড় অনুষ্ঠানেই হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

উৎসবের মরসুমে নাশকতা এড়াতে জলপাইগুড়ি জেলার বাংলাদেশ ও ভুটান সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ছে৷ জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, পুজোর ক’দিন সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ও এসএসবির সঙ্গে যৌথ নাকা তল্লাশির পাশাপাশি জেলা পুলিশও একক ভাবে নাকা তল্লাশি করবে৷ ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সীমান্ত এলাকার থানাগুলিকে নির্দেশও পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা৷

Advertisement

পুজোর মুখে জেলা পুলিশের এই তৎপরতায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পুজোর মরসুমে কোনও সংগঠনের জলপাইগুড়িতে নাশকতা ঘটানোর হুমকি রয়েছে? জেলার পুলিশ কর্তারা অবশ্য তেমন কথা মানতে চাননি৷ বরং তাঁদের দাবি, নিরাপত্তা বাড়াতে এটা নিয়মমাফিক কাজ৷ যে কোনও বড় অনুষ্ঠানেই হয়।

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘নিজেদের হাইলাইট করতে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিরা উৎসবের সময় বাছে অনেক সময়ে। তাই এই ব্যবস্থা৷’’ পুজোর সময় কোথাও সন্দেহজনক কিছু দেখলে তা পুলিশের নজরে আনতেও জেলার পুলিশ কর্তারা এ দিন সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেন৷

Advertisement

এ দিকে, এ দিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুজো গাইড ম্যাপ উদ্বোধন হয়৷ গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী৷ সেখানে জেলাশাসক রচনা ভকতও পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিও উপস্থিত ছিলেন৷

গত কয়েক বছর ধরে জলপাইগুড়িতে এই পুজো গাইড ম্যাপ প্রকাশ হয়ে আসছে৷

পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর গোটা জেলাজুড়েই এই ম্যাপ প্রকাশ হয়েছে৷ ম্যাপে পুলিশের কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি জেলা পুলিশ কর্তাদের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, এ বারের পুজোয় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে’র ওপরেও জোড় দেওয়া হচ্ছে৷ পুজোর সময় কেউ যাতে বেপরোয়া ভাবে মোটর সাইকেল চালাতে না পারে সে দিকেও কড়া নজর
রাখা হবে৷

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement