বেপরোয়া: নিজস্বীতে কবুল যে কোনও ঝুঁকি। ছবি: সন্দীপ পাল
টাইগারের হিলের রেলিং বা সেবকের করোনেশন সেতু। রসিকবিল, আত্রেয়ী, মালদহের গঙ্গাবক্ষ বা শিলিগু়ড়িতে বাঘের খাঁচার সামনে। যে জায়গা যত বিপজ্জনক, নিজস্বীপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা হিসেবে সেগুলোই প্রথম সারিতে। কেননা, সেই নিজস্বীতেই লাইক বেশি পড়ে। সেলফি-প্রবণতার সেই বিপজ্জনক কিছু দৃশ্যের সামনে আনন্দবাজার।
বাদ যায় না বাতাসিয়াও
টয়ট্রেন থেকে ঝুলে নিজস্বী তোলা বাতাসিয়া লুপের পরিচিত দৃশ্য। টাইগার হিলের রেলিংয়ে বসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে নিজস্বী, তার নেশাও বাড়ছে পর্যটকদের মধ্যে। জলপাইগুড়ির করলা সেতুর রেলিংয়ে বসে নিজস্বীও। মুহুর্তের অসর্তকতায় যা ডেকে আনতে পারে বিপদ।
সাগরদিঘিতে তোলপাড়
নিউ কোচবিহারে রেলের ওভারব্রিজ, কোচবিহারের তোর্সা সেতু, সাগরদিঘিতে বোটিং চলাকালে ও দিঘির পাড়ে নিজস্বী তোলার প্রবণতা রোখার উপায় কী তা নিয়ে চর্চা চলছে কোচবিহার পুলিশ-প্রশাসনের অন্দরে। পুরসভার পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
চিতাবাঘের কাছাকাছি
ডুয়ার্সের খয়েরবাড়ি লেপার্ড রেসকিউ সেন্টারও নিজস্বীপ্রেমীদের নজরে। সেখানে ব্যারিকেড টপকে চিতাবাঘের সঙ্গে নিজস্বী তোলার চেষ্টা মাঝেমধ্যেই হয়। তা রুখতে ঘাম ছুটে যায় বনকর্মীদের। রসমতি পর্যটন কেন্দ্রের ওয়াচ টাওয়ারে ঝুঁকি নিয়ে নিজস্বী তোলার প্রবণতা রয়েছে।
হেরিটেজ ভবনের ছাদেও
কোচবিহারে কলেজের ছাদে বা ঐতিহ্যপ্রাচীন ভবনের ছাদে নিজস্বী তোলার চেষ্টাও কম হয় না। সে জন্য একাধিকবার কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করেছেন।
(শেষ)