পুলিশেই ক্ষুব্ধ কর্তারা

জাতীয় সড়কে নজরদারিতে বিশেষ ‘হাইওয়ে ট্র্যাফিক’ ইউনিট খুলেছিল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। তার পরেও অবৈধ বালি থেকে কয়লার ট্রাকের যাতায়াত বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

জাতীয় সড়কে নজরদারিতে বিশেষ ‘হাইওয়ে ট্র্যাফিক’ ইউনিট খুলেছিল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। তার পরেও অবৈধ বালি থেকে কয়লার ট্রাকের যাতায়াত বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে হাইওয়ে ইউনিটের একাংশের বিরুদ্ধেই ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ উঠতে থাকে। এমন অভিযোগে জেলা পুলিশ কর্তারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে, বিশেষ ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ইউনিটের অফিসারদের অন্যত্র সরিয়ে সংশিষ্ট এলাকার জাতীয় সড়কে নজরদারির ভার থানার হাতেই ফের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে জেলা পুলিশের ক্রাইম কনফারেন্সে থানা এবং ট্র্যাফিকের সব অফিসারকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি একাধিক অফিসারকে সর্তকও করেছেন।

Advertisement

এসপি অমিতাভ মাইতি বলেন, “গত শুক্রবার রুটিন কনফারেন্স হয়েছে। তবে জাতীয় সড়কে নজরদারি নিয়ে সর্তক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে, তা-ও বলে দেওয়া হয়।”

সম্প্রতি জেলার এক ট্র্যাফিক ইউনিটের অফিসারকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। তার পরেও নজরদারি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠতেই থাকে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তিস্তা নদীর খাত থেকে অবাধে বালি তুলে জাতীয় সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। গাড়ি চালকদের সঙ্গে পুলিশে একাংশের ‘বন্দোবস্তের’ ফলেই দিনের পর দিন এমন চলেছে বলে অভিযোগ। তিন দিন আগে তিস্তা সেতুতে ভূমি দফতর পুলিশের সাহায্য নিয়ে নাকা তল্লশি চালায়। কয়েক ঘণ্টায় একাধিক ট্রাক আটকে দেয়। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে অন্য দিন পুলিশের নজর এড়িয়ে বালির ট্রাক কী ভাবে চলে যায়?

Advertisement

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশের দল ট্রাক, গাড়ি আটকে কয়েকশো কেজি গাঁজা আটকেছে। জেলা পুলিশের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে, জেলার একাধিক থানা পার হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে বিনা বাধায় কী ভাবে ট্রাকগুলি এতটা পথ এল?

জেলা পুলিশের এক অফিসারের কথায়, “আর কিছু না হোক, মাঝেমধ্যে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে দাঁড় করিয়ে কাগজ বা কি পণ্য যাচ্ছে, তার পরীক্ষা তো হবে। তাও মনে হয় হত না। সে কারণেই এই ইউনিটগুলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।”

সূত্রের খবর, হাইওয়ে ট্র্যাফিক ইউনিটের অফিসারদের কয়েক জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, অন্য কোথায় তাঁরা পোস্টিং চান। ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে অফিসারদের সেখানে পাঠানো হবে। যদিও সরকারি ভাবে জেলা পুলিশের তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন