দুই শিশুর বিবাদ থামাতে সালিশি, মারধর মহিলাকে

দুই শিশুর বিবাদের জেরে ডাকা হয়েছিল সালিশি সভা। সেই সালিশি সভাতেই এক মহিলাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৪
Share:

মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন শকুন্তলাদেবী। —নিজস্ব চিত্র।

দুই শিশুর বিবাদের জেরে ডাকা হয়েছিল সালিশি সভা। সেই সালিশি সভাতেই এক মহিলাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার থানার সাগরদিঘি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

Advertisement

আক্রান্ত ওই মহিলা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার সকালে আক্রান্ত মহিলার পরিবারের লোকজন আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ওই মহিলার নাম শকুন্তলা হালদার। তাঁর স্বামী সুধীর হালদারকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে সাগরদিঘির বাসিন্দা সুধীর হালদারের পাঁচ বছরের নাতি সুমন গ্রামে খেলা করছিল। সেই সময় প্রতিবেশি সুশীল মণ্ডলের ছোট ছেলের সঙ্গে তার মারামারি হয়। অভিযোগ, সুশীলের ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন সুধীর বাবুর স্ত্রী শকুন্তলা দেবী। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। ওইদিনই রাতে দুই পরিবারকে নিয়ে সালিশি সভা বসানো হয়। জানা গিয়েছে সেই সালিশি সভায় সুশীলবাবুরা শকুন্তলাদেবীদের হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে আচমকা লোহার রড দিয়ে শকুন্তলা দেবীর মাথায় আঘাত করেন সুশীলবাবুর ভাই লখিন্দর মণ্ডল। বাধা দিলে শকুন্তলা দেবীর স্বামী ও ছেলেকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনজনকেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।। সুধীর বাবু ও তাঁর ছেলে মিঠুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও শকুন্তলা দেবী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Advertisement

শকুন্তলা দেবী বলেন, ‘‘সুশীলের ছেলেকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক না। আমি দুই শিশুর মারামারি থামাতে যাই। তখন সুশীলের ছেলেটা পড়ে যায়। আর তাঁরা অভিযোগ করতে থাকেন আমি ফেলে দিয়েছি। সালিশি সভা বসিয়ে আমার কাছে হাজার টাকা চায় চিকিৎসার জন্য। তখনই হামলা করা হয়।’’

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত লখিন্দর ও তাঁর দাদা সুশীল মন্ডল ফেরার রয়েছে। এই বিষয়ে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণেন্দু সাহা বলেন, ‘‘দুই পরিবার নিজেদের মধ্যে সালিশি সভা বসিয়ে ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। পুলিশকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন