ঝাড়খণ্ড থেকে উদ্ধার ৭ কিশোর, কিশোরী

ঘুরতে বেরিয়ে দেরি হওয়ায় জাঁকিয়ে বসেছিল বকুনি খাওয়ার ভয়। তাতেই আর বাড়ি ফেরা হয়নি বলে পুলিশকে জানাল ঘরছাড়া সাত কিশোর-কিশোরী। স্কুলের পোশাকে ঝাড়খন্ডের বারহারওয়ায় ইতিউতি ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের উদ্ধার করে জিআরপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৪
Share:

ঘুরতে বেরিয়ে দেরি হওয়ায় জাঁকিয়ে বসেছিল বকুনি খাওয়ার ভয়। তাতেই আর বাড়ি ফেরা হয়নি বলে পুলিশকে জানাল ঘরছাড়া সাত কিশোর-কিশোরী। স্কুলের পোশাকে ঝাড়খন্ডের বারহারওয়ায় ইতিউতি ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদের উদ্ধার করে জিআরপি।

Advertisement

শনিবার সকালে ঝাড়খন্ড থেকে নিয়ে এসে মালদহের একটি হোমে রাখা হয়েছে তাদের। যদিও তাদের এই দাবি ঠিক কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘ঘুরতে বেরিয়ে দেরি হয়েছিল। তাই বাড়ি ফিরে বকুনি খাওয়ার ভয়ে ওরা আর বাড়ি ফেরেনি বলে জানিয়েছে। ওদের দাবি কতটা ঠিক তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’ নিখোঁজ হওয়ার পিছনে ঘটনা যাই থাকুক না কেন তারা উদ্ধার হওয়ায় পরিজনদের পাশাপাশি স্কুলেও স্বস্তি ফিরেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া চার কিশোরী ও তিন কিশোরকে শিশু সুরক্ষা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের মালদহে পৃথক হোমে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেই ওই কমিটি তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেবে। জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন চৈতালি সরকার বলেন, ‘‘ওরা কোথায় কেন গিয়েছিল, ঠিক বলছে কি না সব খতিয়ে দেখার পর অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

গত বুধবার স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি মালদহের জিতারপুরের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া চার কিশোরী ও এক কিশোর। ওই ঘটনায় এলাকার পাশাপাশি তাদের স্কুলেও হইচই পড়ে যায়।

পুলিশ জানায়, স্কুলে না গিয়ে তারা প্রথমে সামসিতে যায়। সেখানে অপেক্ষা করছিল আরও দুই প্রতিবেশী কিশোর। সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে তারা। তাঁদের দাবি, সামসিতে সন্ধে হয়ে যাওয়ায় তারা ভয়ে বাড়ি না ফিরে ঝাড়খন্ডের তিনপাহাড়ে এক পরিচিতের বাড়ি যাবে বলে মানিকচক ঘাটে পৌঁছায়। কিন্তু লঞ্চ না মেলায় রাতে সেখানে কাটিয়ে পরদিন সকালে তিনপাহাড়ে গিয়ে এক কিশোরের পরিচিতের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। সেখানে খাওয়া দাওয়া সেরে তারা বারহারওয়া স্টেশনে পৌঁছায়। স্টেশন চত্বরে স্কুলের পোশাকে তাদের ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাদের সঙ্গে কথাবর্তা বলেও সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরেই তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই কিশোর-কিশোরীদের কথায় নানা অসংলগ্নতা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তবে তারা উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। এক কিশোরীর মা বলেন,‘‘ওরা ফিরে এসেছে। এটাই যথেষ্ট। কেন এমন করল বাড়ি ফিরলে তা জানতে চাইব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন