ধসে ভোগান্তি

দিনভর বিচ্ছিন্ন সেবক

গত সোমবার গভীর রাতে ধস নেমেছিল মংপংয়ে। মঙ্গলবার রাতে মংপংয়ের ধস সরিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছিল। এ বারে অনেক এলাকা জুড়ে ধস ছড়িয়ে থাকায় ঠিক কখন জাতীয় সড়ক দিয়ে আবার যান চলাচল শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০৭
Share:

দুর্ভোগ: এ ভাবেই পেরোতে হয় ধসের এলাকা।ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

তিনদিনের ব্যবধানে ফের ধস! তার জেরেই বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে কালিম্পং ও ডুয়ার্স যাতায়াতের রাস্তা। শুক্রবার গভীর রাতে সেবকের পথে তিস্তার দু’পারের পাহাড়ি পথেই একাধিক স্থানে ধস নামে। শনিবার সন্ধে অবধি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

Advertisement

এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে ধস নেমেছিল মংপংয়ে। মঙ্গলবার রাতে মংপংয়ের ধস সরিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছিল। এ বারে অনেক এলাকা জুড়ে ধস ছড়িয়ে থাকায় ঠিক কখন জাতীয় সড়ক দিয়ে আবার যান চলাচল শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়। সেবক ফাঁড়ি থেকে সেবকেশ্বরী কালী মন্দির পর্যন্ত এলাকাতে মোট তিন জায়গাতে ধস নেমেছে। সেবকের ডুয়ার্সের প্রান্তে মংপং এলাকাতেও আবার ধস নেমেছে। ঝোরার জলের সঙ্গে গড়িয়ে নেমেছে বিশাল পাথরের চাঁই। রাস্তায় পাহাড়প্রমাণ ধসের স্তূপ হয়ে গিয়েছে। গাছগাছালি উপড়ে রয়েছে রাস্তায়। জেলা প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, দ্রুতগতিতে কাজ করে রাস্তা খোলানোর জন্য বলা হয়েছে। জাতীয় সড়ক ৯ বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অজয় সিংহ বিকেলে সেবকে পৌঁছন। তিনি বলেন, ‘‘ধস সরানোর কাজ জোরকদমে চলছে। এর বেশি এখন কিছুই বলা যাবে না।”

এই অবস্থায়, ডুয়ার্সের একমাত্র বিকল্প পথ গজলডোবা হয়ে ঘুরপথে শিলিগুড়ির সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ রাখতে হয়। এই রাস্তা জাতীয় সড়কের থেকে অনেকটাই কম প্রশস্ত। কিন্তু বাধ্য হয়েই শিলিগুড়ি ডুয়ার্সের সব গাড়ি এই পথ দিয়ে চলাচল করার জেরে সমস্যাও তৈরি হয়।

Advertisement

মালবাজার থেকে বালুরঘাট যাবার একমাত্র উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস গজলডোবা বাবুজোত এলাকাতে বড় গাড়িকে রাস্তা ছাড়তে গিয়ে সড়কের ধারে নরম কাদা মাটিতে চাকা বসে আটকে যায়। বাধ্য হয়ে এই বাসটিকে এ দিন বাতিল করে দেওয়া হয়। বারবার শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ আটকে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ব্যবসাতেও।

বানারহাটের ব্যবসায়ী সুরেন ওঁরাও বলেন, “বিশ্বকর্মা পুজোর জন্যে শিলিগুড়ি পাইকারি বাজার থেকে মাল নিয়ে বানারহাটে এনে ব্যবসা করি আমি। রাস্তা বন্ধের জন্যে সেই কাজে যাওয়া হয়নি।” ধসের জেরে আটকে পড়ে খবরের কাগজের গাড়িও।

অন্যদিকে গজলডোবার পথে এইভাবে ভারী গাড়ি চলার জন্যে সেখানকার রাস্তাও খারাপ হতে বসেছে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তবে সেবক দ্রুত খুলে যাবে বলেই ধস সরানোর কাজে যুক্ত কর্মীরা জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন