পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এক এসএফআই সমর্থককে ছাত্র সংসদের ঘরে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ কলেজে। খবর পেয়ে পুলিশ কলেজে গিয়ে এসএফআই ও টিএমসিপি সমর্থকদের সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র গৌরাঙ্গ বিশ্বাস নামে ওই এসএফআই সমর্থককে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা করানো হয়েছে। পরে গৌরাঙ্গবাবু টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয় সরকার সহ টিএমসিপির পাঁচ সমর্থকের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গৌরাঙ্গবাবুর সঙ্গে কয়েকজন টিএমসিপি সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের তৃতীয় বর্ষের স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের বিভিন্ন বিষয়ের অনার্স পরীক্ষার আসন কালিয়াগঞ্জ কলেজে পড়েছে। ওই কলেজের ছাত্র সংসদ টিএমসিপির দখলে রয়েছে। এ দিন গৌরাঙ্গবাবু পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময়ে টিএমসিপি সমর্থকেরা তাঁকে ছাত্র সংসদের ঘরে আটকে রেখে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদিকা এসএফআইয়ের সায়শ্রী ভৌমিক বলেন, “একদল টিএমসিপি সমর্থক গৌরাঙ্গকে জামার কলার ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে ছাত্র সংসদের ঘরে ঢুকিয়ে মাটিতে ফেলে চড়, লাথি, ঘুষি মারার পর কাঠের বাটাম দিয়ে বেধরক মারধর করে চলে যায়। আমরা ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।” জানুয়ারি মাসে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের নির্বাচনে টিএমসিপি পরাজিত হওয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ দিন হামলা হয় বলে এসএফআইয়ের দাবি।
যদিও এসএফআইয়ের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে টিএমসিপির জেলা সভাপতি অজয়বাবু বলেন, “গৌরাঙ্গবাবুর সঙ্গে ব্যক্তিগত কারণে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। টিএমসিপি হামলা চালায়নি। নিরপেক্ষ তদন্ত হয়েই সবকিছু স্পষ্ট হবে।’’ অজয়বাবুর দাবি, “বহিরাগত এসএফআই সমর্থক পরীক্ষার্থীদের যাতে কালিয়াগঞ্জ কলেজে পরীক্ষা দিতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য টিএমসিপি সমর্থকেরা তাঁদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন।”