ময়নাগুড়ির সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদীর সভায় থাকার ইচ্ছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলেন না বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। জামিন না পাওয়ায় তাঁকে পুলিশ খুঁজছে। বিজেপির ডাকা বন্ধের দিন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, কাজে বাধা দেওয়ার মতো মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলায় আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও সেখান থেকে কোনও নির্দেশ এখনও মেলেনি। তারপরেও গত কয়েক দিন ধরেই ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভার আয়োজন করতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। আজও সভায় তিনি থাকতে চান বলে জানিয়েছিলেন।
শঙ্করবাবুর দাবি, সামনেই কলকাতায় বিজেপির এ রাজ্যের সমস্ত জেলা সভাপতি এবং জেলা পর্যবেক্ষকদের নিয়ে বৈঠক রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সভাপতিদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ওই কাজের জন্য শুক্রবার তিনি ময়নাগুড়িতে নরেন্দ্র মোদীর সভায় থাকতে পারলেন না।
সভার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি ময়নাগুড়ি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরেও তাঁকে বাগডোগরায় দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারও তাঁকে এ রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা গিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘শঙ্করবাবু ময়নাগুড়িতে রয়েছেন জানার পর খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তবে এদিন সভার সময় তিনি ছিলেন না। আমরা খোঁজ করছি।’’
শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ আমাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হেনস্থা করছে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকার ইচ্ছে থাকলেও দলীয় কাজের দায়িত্ব পাওয়ায় এ দিন অন্যত্র চলে আসতে হয়।’’