জোট বেঁধে
দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে আসেন সুজাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী ও বৈষ্ণবনগরের আজিজুল হক। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা বৈষ্ণবনগরের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষ এবং দলের কর্মীরা। শনিবার শিলিগুড়ির বাম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য যখন মনোনয়ন জমা দিতে ঢুকলেন সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকার এবং গঙ্গোত্রী দত্ত। ছিলেন শরিক সিপিআই নেতা উজ্জ্বল চৌধুরীও। প্রার্থী সহ পাঁচ জন রির্টানিং অফিসারের ঘরে যেতে পারবেন, এটাই নির্বাচন কমিশনের নিয়ম। পাঁচজনের মধ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি ২-২।
ঠিকানা বদলে
গোয়ালপোখরের কংগ্রেস প্রার্থী মৌলানা আফজল হুসেন মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন। মিছিল হবে। কর্মী-সমর্থকরা ঝান্ডা হাতে জড়ো হয়েছেন পার্টি অফিসে। কংগ্রেসের নয়, সিপিএমের পার্টি অফিস থেকেই মিছিল শুরু করলেন মৌলানা। সঙ্গে এগোলো চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী আলি ইমরান রামজ এবং চোপড়ার সিপিএম প্রার্থী এক্রামুল হকের মিছিল। জোট বার্তা দিতে রায়গঞ্জ থেকে ইসলামপুরে এসেছিলেন জেলা সিপিএম সম্পাদক অপূর্ব পালও।
শরিক হতে আর্জি
চা শ্রমিকদের আন্দোলনে সিপিএম-কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সামিল ছিল নকশাল এবং এসইউসিআইয়ের সংগঠনও। কংগ্রেসের সমর্থন প্রশ্নে নকশাল এবং এসইউসিআই জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। শনিবার নকশাল নেতারা মনোনয়ন জমা দিতে যখন পৌঁছন, তখন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী মনোনয়ন দিচ্ছেন। এক কংগ্রেস নেতা পরিচিত নকশাল নেতাকে দেখে বললেন, ‘‘দাদা, জোটে চলে আসুন।’’ ওই নকশাল নেতার জবাব, ‘‘ভোটের দিন আসুক, তারপর দেখুন।’’
অতুল-অস্বস্তি
শনিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। কিছু পরেই জেলাশাসকের দফতরে আসেন কালচিনির নেতা আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অতুল সুব্বা। সোজা রির্টানিং অফিসারের ঘরে ঢুকে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। নির্দল হিসেবে। দলের প্রার্থী পছন্দ নয়। তাই বিক্ষুব্ধ তিনি।