একযোগে নিন্দা মেয়র ও মন্ত্রীর

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব কড়া ভাষায় জঙ্গি যোগের নিন্দা করেছেন। রাজনৈতিক মতামত ভিন্ন থাকলেও জঙ্গি যোগ নিয়ে উদ্বেগে বিরোধীরাও।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১৪
Share:

পাহাড়ে জঙ্গি হানায় আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে পাহাড়-সমতলের নানা মহলে। মোর্চা নেতাদের একাংশের সঙ্গে জঙ্গি যোগের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিমল গুরুঙ্গের খোঁজে দার্জিলিঙের লেপচাবস্তিতে পুলিশি হানার পরে সেই অভিযোগ আবার জোরদার হল। অভিযান শুরু হতেই পুলিশের দিকে ঝাকে ঝাকে গুলি ছুটে আসে। তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, গুরুঙ্গের সঙ্গে ছিলেন উত্তর পূর্ব ভারতের জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরাই। এর পরেই সমতলেও ছায়া ফেলেছে আতঙ্ক।

Advertisement

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব কড়া ভাষায় জঙ্গি যোগের নিন্দা করেছেন। রাজনৈতিক মতামত ভিন্ন থাকলেও জঙ্গি যোগ নিয়ে উদ্বেগে বিরোধীরাও। শিলিগুড়ির মেয়র সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যা ঘটল তাতে আমি শঙ্কিত। উত্তর পূর্ব ভারতের মতো উপদ্রুত না হয়ে যায় এই এলাকা। দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে এর সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।’’ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের (সমতল) সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকরও। তিনি বলেন, ‘‘আশির দশকে পাহাড়ে কী ভাবে শান্তি ফেরাতে হয়, তা বিজেপি সরকারকে কংগ্রেসের কাছ থেকে শিখতে হবে। রাজ্যকেও আরও সহনশীল হতে হবে। নইলে অমিতাভ মালিকের মতো প্রাণ হারাতেই থাকবে।’’

নিন্দায় সরব অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতিও। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে অস্ত্র আমদানি চলছে, তা আমরা প্রথম বলেছি। দেশের আইন মেনে এদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া দরকার।’’ বিজেপির শিলিগুড়ির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রবীণ অগ্রবালের মুখেও এই ঘটনার নিন্দা শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড় কিন্তু শান্ত হয়নি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement