মুখ্যমন্ত্রীর পথই ধরতে চান মেয়র

তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাতায়াতের জন্য পুলিশ যে ব্যবস্থা করেছিল, তা-ই মেনে নেওয়া হোক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

শহরের যানজট নিয়ে বারবার নানা অভিযোগ তুলেছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। পুলিশ তাঁর পরামর্শ শুনছে না বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর। এ বার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে ট্রাফিক পুলিশের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাতায়াতের জন্য পুলিশ যে ব্যবস্থা করেছিল, তা-ই মেনে নেওয়া হোক।

Advertisement

সেই ব্যবস্থা কী?

বেশ কিছু দিন ধরেই হিলকার্ট রোডে গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে সব গাড়ি দ্রুত যেতে চায়, তাদের জন্য একটি লেন, যে সব গাড়ি-বাস-অটো-টোটো বারবার থামবে তাদের জন্য আর একটি লেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কনভয় যাওয়ার জন্য সেই দু’টি লেন ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছিল। অশোকবাবুর দাবি, মাস ছয়েক আগেই তিনি এ ভাবেই গ্রিন চ্যানেল তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন পুলিশকে। তা মানা হয়নি। কিন্তু এ বার মুখ্যমন্ত্রী জন্য গ্রিন চ্যানেল তুলে দেওয়ায় ওই রাস্তায় যানজট কম হয়েছে। সেই ব্যবস্তাই কায়েম রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র। একই সঙ্গে টোটো কমাতেও দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন তিনি। যদিও পুলিশের তরফে এখনই এরকম কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।

Advertisement

অশোকবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে হিলকার্ট রোডে যে গ্রিন চ্যানেল তোলা হয়েছে, তাতে যানজট কমেছে। আমরা এই দাবি বার বার করেছি। আগামী ৬ মাস এই পদ্ধতিতেই যানজট নিয়ন্ত্রণ হোক শহরে।’’

কিছু দিন আগেই শহরের যানজট নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে মতামত বিনিময় করেছে পুরসভা। তাতে পুরসভার কিছু দাবি আপাতত মেনে নিয়েছিলেন ট্রাফিক কর্তারা। পুলিশের তরফেও পুরসভার কিছু এলাকায় পার্কিং বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

টু ওয়ে হিলকার্ড রোডের একদিকে ডিভাইডার দিয়ে গ্রিন চ্যানেল তৈরি করা হয়েছিল দার্জিলিং মোড় থেকে শুরু করে হাসমিচক পর্যন্ত। কিন্তু তার জেরে শহরের যানজট অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করছিলেন অশোকবাবু। সেই চ্যানেল থাকাকালীনও অবশ্য যানজট হত।

তবে পুলিশ এখনই গ্রিন চ্যানেল ওঠানোর ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করতে নারাজ। ডিসি (ট্রাফিক) গৌরব লাল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের দ্রুত গতিতে যাওয়ার জন্য ডিভাইডারগুলি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর শেষ হলে আবার সেগুলি বসানো হবে।’’

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আরও কিছু দিন গ্রিন চ্যানেল ব্যবস্থা রেখেই পরীক্ষা করা হবে শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কতটা ভাল ভাবে সামলানো সম্ভব হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন