মোর্চাকে বার্তা মেয়রের

পাহাড়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে দায়ী করলেও সিপিএম মনে করে, এমন পরিস্থিতি চললে আগামীতে অবস্থা আরও ভয়ানক হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০২:২০
Share:

পাহাড়ের পরিবেশকে স্বাভাবিক করার জন্য মোর্চাকে বার্তা দিল দার্জিলিং জেলা সিপিএম। বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য জানান, পাহাড়ে মোর্চার সবচেয়ে বড় দল। অন্য দলগুলিকে নিয়ে ওঁরা আন্দোলন করছেন। সেখানে রোজ যা হচ্ছে, তা মানা যায় না। ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় সমস্যা মিটবে। কিন্তু তার জন্য পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে হবে। এর দায়িত্ব মোর্চাকেই নিতে হবে।

Advertisement

পাহাড়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে দায়ী করলেও সিপিএম মনে করে, এমন পরিস্থিতি চললে আগামীতে অবস্থা আরও ভয়ানক হতে পারে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘প্রতিদিন পাহাড়ে আগুন জ্বলছে। এটা কোনও আন্দোলনের রূপরেখা হতে পারে না।’’

গত বুধবারই পাহাড়ে হেরিটেজ রাজরাজশ্বরী কমিউনিটি হল পোড়ানো হয়েছে। বাদ যায়নি এক ডিএসপির গাড়ি। গত ১৫ দিনে অন্তত ৪০ জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোনাদার মতো হেরিটেজ স্টেশন ভস্মীভূত হয়েছে। মিরিক, দার্জিলিঙে গুলি চলছে। মোর্চার সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ সম্প্রতি দাবি করেন, এ সমস্ত ঘটনার পিছনে দুষ্কৃতীরা জড়িত। আন্দোলনকে নষ্ট করার জন্য এসব চক্রান্ত চলছে। এই প্রসঙ্গে অশোকবাবু বলেছেন, ‘‘আন্দোলন নষ্টের চক্রান্ত হলে তো মোর্চাকেই সরব হতে হবে। তাহলে ওঁরা সরকারকে চিঠি দিয়ে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুক। আর আন্দোলন তো অনেকগুলি দল মিলে করছে, তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’’

Advertisement

পাহাড়ের আন্দোলনের প্রভাব সমতলে ব্যাপক ভাবে পড়ছে বলেও শিলিগুড়ির বিধায়ক জানান। তিনি জানান, সমতলে জাতি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।

ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধের মুখে। এখনই আলোচনার জন্য রাজ্যের উচিত কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া। কেন্দ্রও এগিয়ে আসা উচিত। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ তা করছেন না। ৮০ দশকে আমরাও কড়া হাতে পাহাড়ের পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেছিলাম। পরে আলোচনাতেই সমাধানের রাস্তা বার হয়।

দলের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার, প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠকও পাহাড়ে এই ধরণের আন্দোলন থেকে বাসিন্দাদের সরে আসার আবেদন জানান। তাঁরা জানান, দাবি আলাদা। মত আলাদা হতে পারে। আলোচনায় তা কোথায় নিশ্চয়ই পৌঁছাবে। তা বলে হিংসাশ্রয়ী আন্দোলন বন্ধ হওয়া দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন