Siliguri. Siliguri Municipal Corporation

ডেঙ্গি রুখতে কড়া নির্দেশ

শহরের হাইড্র্যান্টগুলো পরিষ্কারের জন্য পুরসভা সাফাই কর্মীদের আলাদা দল তৈরি করেছে। 

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে ডেঙ্গির সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ১৪-২২ মার্চের মধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টাস্ক ফোর্স গড়ে ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারের নির্দেশ দিল পুরসভা। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের তরফে তা জানানো হয়।

Advertisement

এই বছর কী ভাবে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ হবে তা নিয়ে কলকাতায় বৈঠক ডেকেছিল সুডা (স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি)। সেই বৈঠকে যোগ দেন পুর প্রতিনিধিরা। এ দিন পুরসভার বোর্ড মিটিংয়েও ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজের পরিকল্পনা জানিয়ে ‘ডেঙ্গি অ্যাকশন প্লান’ কাউন্সিলরদের দেওয়া হয়। শহরের হাইড্র্যান্টগুলো পরিষ্কারের জন্য পুরসভা সাফাই কর্মীদের আলাদা দল তৈরি করেছে।

মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘টাস্ক ফোর্সের অধীনে ডেঙ্গি বিরোধী সচেতনতার প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতায় বৈঠকে তা জানানো হয়েছিল। সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী এবং ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা তাতে সামিল হবেন। বাসিন্দাদেরও সামিল করানো হবে। ওয়ার্ড ভিত্তিক ওই প্রচার হবে।’’ ইতিমধ্যেই মেয়র অশোক ভট্টাচার্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচারে তাঁকে শিলিগুড়িতে আসার জন্য। সৌরভ শিলিগুড়িতে আসার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও মেয়র দাবি করেন।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে স্টেট গেস্ট হাউজে ডেঙ্গি প্রতিরোধ কাজের বিষয়টি নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির হয়। ডেঙ্গি নিয়ে ভোটের আগে কেউই ঝুঁকি নিয়ে চাইছে না। ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিত্যক্ত জমিতে থাকা আবর্জনা, জঙ্গল পরিষ্কার করে মালিককে বিল পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জমির মালিকদের এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্নিগ্ধা হাজরা জানান, তাঁর ওয়ার্ডে অন্তত ১৫টি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২০টির মতো পরিত্যক্ত জমিতে আবর্জনা জমে রয়েছে বলে অভিযোগ। শহর জুড়ে কয়েকশো জমির এই অবস্থা বলে অভিযোগ।

শীত কাটতেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ না আসায় বাড়ি বাড়ি সমীক্ষক দল গড়ে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকী ভেক্টর কন্ট্রোল টিমও গঠন করা যায়নি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতেই শহরের ৭ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর ডেঙ্গিতে দুই হাজারের কাছাকাছি আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৬ জনের মৃত্যুর অভিযোগও ওঠে। গত বছর জুন থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গির সংক্রমণ ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন