Siliguri TMCP

প্রয়োজনে, রাজভবন ঘেরাওয়ের ‘হুমকি’ দিল টিএমসিপি

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রবীন্দ্রভানু মঞ্চের কাছে অবস্থান চলে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আাচার্যের হস্তক্ষেপ করছেন, যা মেনে নেওয়া হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘স্বৈরাচার’ চালানোর অভিযোগ তুলে প্রয়োজনে রাজভবন ঘেরাওয়ের হুমকি দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। সোমবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপি অবস্থান-বিক্ষোভ করে। এ দিন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। উত্তরবঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে কর্মসূচির সূচনা হয়। সেই সঙ্গে এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও একই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়।

Advertisement

উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সঙ্ঘাতের পরিমণ্ডল তৈরি হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়া, রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করছেন বলে অভিযোগ শাসক দলের। যদিও আদালত অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আচার্যের এই সিদ্ধান্তকে বাধা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে এ দিন থেকে আন্দোলনে নেমেছে টিএমসিপি।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রবীন্দ্রভানু মঞ্চের কাছে অবস্থান চলে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আাচার্যের হস্তক্ষেপ করছেন, যা মেনে নেওয়া হবে না। আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘রাজ্যপাল স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। উচ্চ শিক্ষাকে বাঁচাতে, বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখতে, পড়ুয়া-স্বার্থে আন্দোলন হচ্ছে। তাতে কাজ না হলে, প্রয়োজনে, আগামী দিনে রাজ্যপাল তথা রাজভবনে ঘেরাও আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।’’

Advertisement

দু’দিন আগে, রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের দাবি, আচার্যের দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে সেখানে যেতে সম্মতি দেয়নি। এর পরেই রেজিস্ট্রার ব্যক্তিগত কারণে পদ থেকে ইস্তফা দেন। টিএমসিপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ‘‘বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। কেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে না? আইআইটি বা বিশ্বভারতীর ক্ষেত্রে যদি কেন্দ্র সরকার একাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক হয়, তবে রাজ্য সরকার যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহন করে, সে সব জায়গায় কেন বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নেবে না?’’

অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের উত্তরবঙ্গের প্রদেশ সম্পাদক শুভব্রত অধিকারী বলেন, ‘‘টিএমসিপি এ দিন রাজ্যপালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে। এটা একেবারেই অনুচিত। রাজ্যপাল নিয়ম মেনেই সব করছেন। এ দিন যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন, বেশির ভাগই বহিরাগত। এ ভাবে ক্লাসের সময় মাইক বাজিয়ে কী করে সভা হচ্ছে, তা নিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন