‘পাপালি’ই আইকন শিলিগুড়ির ক্রিকেটে

বেলা তিনটের আগেই ক্রিকেটের ব্যাট, গ্লাভস নিয়ে মাঠে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন কৌশিক বসাক, অর্ণব দাস, সায়ন বিশ্বাস, শুভম বিশ্বাসরা। চলছে শিলিগুড়ির অগ্রগামী ক্লাবে প্রতিদিনের অনুশীলন।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৬ ০৩:২২
Share:

ঋদ্ধিমানের শতরানের খুশিতে তাঁর ক্লাব অগ্রগামীতে মিষ্টিমুখ চলছে।

বেলা তিনটের আগেই ক্রিকেটের ব্যাট, গ্লাভস নিয়ে মাঠে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন কৌশিক বসাক, অর্ণব দাস, সায়ন বিশ্বাস, শুভম বিশ্বাসরা। চলছে শিলিগুড়ির অগ্রগামী ক্লাবে প্রতিদিনের অনুশীলন।

Advertisement

শিলিগুড়ির শক্তিগড়ের বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেলা তিনটের আগে তাদের মতো এ ভাবেই ক্লাবে ঢুকে পড়তেন ঋদ্ধিমান সাহা ওরফে পাপালি। যাঁর করা সেঞ্চুরিতে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।

অগ্রগামী ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে অর্ণব, শুভমদের মতোই মাঠ পরিষ্কার করত, পিচের যত্ন নিতেন ঋদ্ধিমান। মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে চলত শ্যাডো অনুশীলন। রাত পর্যন্ত চলত কঠিন অনুশীলন। শিলিগুড়ির এই গলি রাস্তা ও অগ্রগামী ক্লাবের অনুশীলন শিবির থেকেই তো ঋদ্ধিমান সাহার ক্রিকেটের রাজপথে উঠে আসা। সেটাই স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৌশিক, অর্ণবদেরও। ঋদ্ধিমানের স্বপ্নের সওয়ারি হতে চাইছে তারাও। বুধবার রাতে ঋদ্ধিমানের টেস্ট শতরান দেখার পর থেকে সেই ইচ্ছেটা আরও বেশি করে দানা বাঁধছে। ঋদ্ধিমানই এখন তাদের আইকন।

Advertisement

শিলিগুড়ি এলে এখনও ক্লাবে আসেন ঋদ্ধিমান। এখন অগ্রগামী ক্লাবের কোচিং সেন্টারে যাঁরা রয়েছে তাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরামর্শ দেন। সেই কথাগুলি মনে পড়ছে কৌশিক, অর্ণবদের। সেই পরামর্শগুলি মেনে চলার চেষ্টাও করছে ওরা। কৌশিক, সায়নরা জানাচ্ছে, ঋদ্ধিমান তাদের মনোযোগ দিয়ে খেলতে বলেছেন। বলেছেন দীর্ঘ সময় ধরে ‘শ্যাডো প্র্যাকটিস’ করতে। চোখের সামনে তাঁর সাফল্যের পথটা দেখে অণুপ্রাণিত হয়ে এই উপদেশগুলিকে পাথেয় করে এগিয়ে চলতে চাইছে তারা।

ক্লাবের কর্মকর্তারাও আনন্দিত। তাঁরাও জানান, ঋদ্ধিমানের সাফল্য ক্লাবে বাড়তি প্রাণ সঞ্চার করেছে। কর্তারা চাইছেন ক্লাবের পরিকাঠামো আরও ঢেলে সাজাতে।

ঋদ্ধিমানের কভার ড্রাইভ, ফ্লিক এবং চাপের মুখে ভারতীয় দলকে টেনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এ সব কিছুই এখন ক্লাবে অনুশীলনে আসা সবার কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। টেস্ট ক্রিকেটে ঋদ্ধির প্রথম শতরান নিয়ে ক্লাবে এ দিন উৎসাহের অন্ত ছিল না। মিষ্টিমুখও করানো হয় অনেককে। ক্লাবের কোচ তথা ঋদ্ধিমানের কোচ জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘ঋদ্ধিমানের সাফল্য আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। ওরা মনে মনে চিন্তা করছে একদিন পাপালিদার মতো হব। এটাই তো বড় পাওয়া।’’ জয়ন্তবাবু জানান, খেলার পাশাপাশি সমস্ত কথা মেনে চলা, অনুশীলনে কোনও ফাঁকি না দেওয়া ও খেলার প্রতি মনোযোগ বড় গুণ ছিল ঋদ্ধিমানের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন