‘বিএস’ কারবারে সুজাপুরে ধৃত ছয়

গত কয়েক মাস ধরে সুজাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ‘বিএস’ নামে বিক্রি হচ্ছে মাদক। কেউ কেউ আবার ওই মাদকের নাম বলে থাকে ‘পুরিয়া’, ‘মাল’ বা ‘হেরোয়িন’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুজাপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০৯:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

কালিয়াচকের সুজাপুরে প্রকাশ্যে ‘বিএস’ মাদকের কারবারে অবশেষে নড়চড়ে বসল পুলিশ। শনিবার দুপুরে বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে ছ’জনকে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে পুরিয়া সহ ৮ গ্রাম বিএস (ব্রাউনসুগার) উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু আফিমের খোসাও উদ্ধার করা হয় ধৃতদের কাছ থেকে। আজ, রবিবার তাদের মালদহ আদালতে তোলা হবে।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে সুজাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ‘বিএস’ নামে বিক্রি হচ্ছে মাদক। কেউ কেউ আবার ওই মাদকের নাম বলে থাকে ‘পুরিয়া’, ‘মাল’ বা ‘হেরোয়িন’। অভিযোগ, সুজাপুর বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল চত্বর, বিশুমোড়, চামাগ্রাম, গয়েশবাড়ির বাখরপুর, মাস্টারপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট পানের দোকান, এমনকি পুরনো প্লাস্টিকের গুদামেও বিএস বিক্রি হচ্ছে রমরমিয়ে। সেই নেশাতেই বিভোর শুধু সুজাপুর নয়, পার্শ্ববর্তী জালালপুর, জালুয়াবাধাল, গয়েশবাড়ি, বামনগ্রাম-মোসিমপুর, কালিয়াচকের অসংখ্য যুবক, বয়স্করাও। অভিযোগ, ওই কারবারিদের সঙ্গে এলাকার তথাকথিত ‘বাহুবলী’-দের, এমনকি পুলিশের একাংশেরও গোপন বোঝাপড়া রয়েছে।

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, কয়েক মাস আগে মাদক খেয়ে এক ব্যক্তি স্থানীয় একটি ধর্মীয় জালসায় গুলি ছোড়ে। বাসিন্দারা সে সময় একাধিক মাদকের ঠেক ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন। তার পর থেকে কয়েক মাস মাদকের কারবার বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিন-চার মাস ধরে ফের জাঁকিয়ে বসেছে তা। অবশেষে, শনিবার কালিয়াচক থানার একদল পুলিশ সুজাপুরের বিভিন্ন এলাকায় হানা দেয়। বিএসের কারবারের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতারও করে।

পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে, ব্রাউন সুগার বলে বিক্রি হলেও আদতে এই মাদকের রং বা গুণগত মান আসল ব্রাউন সুগারের মতো নয়। ‘বিএস’ তৈরি করা হচ্ছে মূলত আফিমের খোসা বা আফিমের ছাঁট অংশ দিয়ে। স্থানীয় ভাবেই কালিয়াচকের গোপন ডেরায় সে সব তৈরি হচ্ছে। ফলে ব্রাউন সুগারের মতো সাদা রং নয় এই মাদকের। কিছুটা ধূসর রঙের। তবুও ব্রাউন সুগার নামেই তা বিক্রি হচ্ছে। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানিয়েছেন, সুজাপুরে মাদকের কারবারে আরও কারা জড়িত সেই খোঁজ চালানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন