রোদে উধাও তুষার, বইছে কনকনে হাওয়া

তুষারপাত থেমে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা আগেই, শুক্রবার গভীর রাতে। বছরের শেষ রবিবার সাত সকাল থেকেই রোদ ঝলমল করছে শৈলশহর দার্জিলিং। ম্যালের পাইন গাছের ফাঁক গিয়ে পড়া সূর্যের আলোতে সকালে হাতে চায়ের গ্লাস নিয়ে রোদে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

তুষারপাত থেমে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা আগেই, শুক্রবার গভীর রাতে। বছরের শেষ রবিবার সাত সকাল থেকেই রোদ ঝলমল করছে শৈলশহর দার্জিলিং। ম্যালের পাইন গাছের ফাঁক গিয়ে পড়া সূর্যের আলোতে সকালে হাতে চায়ের গ্লাস নিয়ে রোদে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। বেলা বাড়তে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বইলেও নতুন করে কোথাও তুষারপাতের খবর মেলেনি। তবে এখনও বরফ জমে রয়েছে টাইগার হিল এবং আশেপাশের এলাকায়। আর তা উপভোগ করতেই সকাল থেকে নতুন করে ভিড় পাহাড়ে। শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও বরফের আকর্ষণে পাহাড়ে গিয়েছেন বহু বাসিন্দা এবং পর্যটকেরা। বরফ রয়েছে কালিম্পঙের উপরের অংশ কোলাখাম, নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানেও। ডুয়ার্স ছাড়াও সমতল থেকে বহু মানুষ গিয়েছেন কালিম্পঙের দিকেও।

Advertisement

সিকিমের এ দিনের ছবিটাও প্রায় একই। ছাঙ্গু, নাথু লা বা ইয়ুমথাং-এর মতো এলাকা এখনও বরফের চাদরে মোড়া। গত শনিবারই বিকেল অবধি তুষারঝ়ড়ে আটকে পড়া শতাধিক গাড়ি, পর্যটকদের উদ্ধারের পর সেনাবাহিনীর তরফ এ দিন নতুন করে এলাকাগুলোতে ঘোরার পারমিট দেওয়া হয়নি। সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাস্তা বরফের আস্তরণে চাপা পড়েছে। আপাতত তুষারপাত বন্ধ থাকলেও আবার একই পরিস্থিতি হতে পারে। তাই পরিস্থিতি দেখে পারমিট দেওয়া হয়েছে। উত্তর সিকিমের লাচুং অবধি যাওয়ার অনুমতি মিলেছে পর্যটকদের। নতুন বর্ষবরণের গোড়ায় পাহাড়ের ৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করা তাপমাত্রাকে উপভোগ করছেন বাসিন্দারা।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেছেন, ‘‘সিকিম হোক বা দার্জিলিং, উচ্চ অক্ষাংশে কিছু বরফ পড়লেও শুক্রবারের মতো পরিস্থিতি আপাতত পাহাড়ি শহরগুলিতে নেই বলেই মনে হচ্ছে। তবে তাপমাত্রার কিছু হেরফের হবে।’’

Advertisement

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে পাহাড়-সমতলে একটা উৎসবের মরসুম শুরু হয়। স্কুল-কলেজ ছুটি থাকায় ভিড়ও বাড়ে দার্জিলিং, কালিম্পং, গ্যাংটকে। জানুয়ারির শেষ দিক থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝমাঝি তুষারপাত হতেই আকর্ষণ বাড়ে পাহাড়ের। এক দশক আগেও দার্জিলিঙে তাই হয়েছিল। কিন্তু এ বার বছর শেষের গোড়ায় দার্জিলিং থেকে সিকিম, তুষারপাত হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় গত দু’দিনে হঠাৎ করে বেড়েছে। এতে কনকনে ঠান্ডার মরসুমেও খুশি হোটেল থেকে গাড়ি ব্যবসায়ীরাও।

আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, এ দিন দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন ২.৪ ডিগ্রি, কালিম্পং ৩.৫, গ্যাংটকে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘুরেছে। শিলিগুড়ি ৫.৫ ডিগ্রি এবং জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রায় ২-৩ ডিগ্রি হেরফের হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন