ফাইল চিত্র।
স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সড়ক যোগাযোগ। তবে রেলপথে চলাচল স্বাভাবিক কবে হবে ঠিক নেই। বিমানভাড়াও কার্যত আকাশছোঁয়া। যার জেরে ভোগান্তি অব্যাহত।
সড়কপথে জল খানিক কমায় ঘুরপথে যাতায়াত শুরু হয়েছে। কিষানগঞ্জে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে জল সরে যাওয়ায় বিহারের সঙ্গে যাতায়াত শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়িগামী যানবাহন ঘুরপথে যাতায়াত শুরু করেছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে বিপত্তি বাধে। সুধানি নদীর জলের তোড়ে উত্তর দিনাজপুর করণদিঘি ব্লকের দোমহনা চুনামারি এলাকার বেঙ্গল টু বেঙ্গল রোডের উপরে একটি কালভার্ট ভেঙে বেঙ্গল টু বেঙ্গল রোডে শিলিগুড়ি ও রায়গঞ্জগামী রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ। বদলে কানকি, বোতলবাড়ি ও ধনতলা এলাকার বেঙ্গল টু বেঙ্গল রোড দিয়ে ওই দুই রুটে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ দিনও রায়গঞ্জ, করণদিঘি ও ডালখোলা থানার বিভিন্ন এলাকার ৩৪ ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে খুব কম পরিমাণে বিভিন্ন নদীর জল বইতে থাকায় রায়গঞ্জ-শিলিগুড়ি রুটের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে ডালখোলা থানার দোমহনা সেতু ও পুর্ণিয়ামোড় এলাকার আরেকটি সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় রায়গঞ্জ-শিলিগুড়ি রুটে অত্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করেছে। তাই জাতীয় সড়কে দিনভর যানজট ছিল।
ইটাহার ব্লকের মহানন্দা ও সুঁই নদীর জল উপচে ইটাহারের গোটলু ও কালোমাটিয়া এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এ দিন পুলিশ ওই দুই এলাকার জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মালদহ ও কলকাতা রুটের বিভিন্ন যানবাহন ঘুরপথে কালিয়াগঞ্জ, বুনিয়াদপুর, গাজল হয়ে চালানো হয়েছে।
কলকাতা থেকে মালদহ পর্যন্ত ট্রেন যাতায়াত করলেও মালদহ থেকে শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার রেললাইনের নীচে মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি মেরামতি শুরু হয়েছে বলে জানান উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা। শনিবার উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের রেললাইনে সমীক্ষা চালাবে রেল।
বাগডোগরা থেকে কলকাতাগামী বিমানের সংখ্যা বাড়লেও কমছে না বিমান ভাড়া। আজ, শুক্রবারের কলকাতা এবং দিল্লির বিমান টিকিটের ভাড়া গত কয়েকদিনের মতই আকাশছোঁয়া। বাগডোগরা থেকে কলকাতার ভাড়া ৮-২০ হাজার এবং দিল্লির ভাড়া ১১-১৬ হাজারের মধ্যে দেখা গিয়েছে। এদিন একইভাবে কলকাতার ভাড়া একসময় ২৫ হাজারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।