সাপের ছোবল রোগীর স্ত্রী’কে

পরিচ্ছন্ন বাংলা গড়ার কর্মসূচি মেনে সোমবারই সরকারি উদ্যোগে সাফাই অভিযান হয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর সেই রাতেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরের ঘুমিয়ে থাকা এক বৃদ্ধাকে ছোবল দিল সাপ। ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা জাকিয়া বিবি এখন এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৫
Share:

পরিচ্ছন্ন বাংলা গড়ার কর্মসূচি মেনে সোমবারই সরকারি উদ্যোগে সাফাই অভিযান হয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর সেই রাতেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরের ঘুমিয়ে থাকা এক বৃদ্ধাকে ছোবল দিল সাপ। ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা জাকিয়া বিবি এখন এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই বৃদ্ধাকে অ্যান্টি ভেনাম সিরাম দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ভোরেই হাসপাতালে চলে আসেন ওই মহিলার বড় মেয়ে জুসমা বিবি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভাবতেই পারছি না হাসপাতালের বাইরে সাপ ঘোরাফেরা করতে পারে।’’

মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ জানান, হাসপাতালের বাইরে নিকাশি নালা থেকে শুরু করে অন্যত্র অপরিস্কার থাকছে। সাফাইয়ের দায়িত্ব পুরসভার। কিন্তু বারবার চিঠি দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রোগীদের পরিবারের লোকজনকে হাসপাতাল চত্বরে থাকা গেস্ট হাউজে থাকতে বলি। বাইরে ঘুমোনোর সময়ই জাকিয়া বিবিকে সাপে কাটে। সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু হওয়ায় তিনি ভাল আছেন।’’ তবে নিয়মিত হাসপাতালের বাইরে সাফাই করা হয় বলে দাবি ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারের।

Advertisement

কালিয়াচকের আলিপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরশাহী মহেশপুর গ্রামের ৬৫ বছরের বাসিন্দা সুকুরুদ্দিন মোমিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ দিন ধরে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে দেখাশোনার জন্য তাঁর স্ত্রী জাকিয়া বিবি হাসপাতালে রয়েছেন। জাকিয়া বিবি জানান, সোমবার রাতেও হাসপাতালের অতিথি আবাসে থাকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফাঁকা না থাকায় ঘুরে চলে আসেন। গেটের পাশে চাতালে অনেককেই প্লাস্টিক পেতে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে তিনিও সেখানেই ঘুমোনোর সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রায় ১৫-১৬ জন সেখানে সবাই ঘুমিয়েছিলাম। আচমকা কয়েকজনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বোঝার আগেই কালো রংয়ের ছোট্ট একটা সাপ আমার কপালে ছোবল দিয়ে পালিয়ে যায়। পাশে থাকা লোকজনই আমাকে তুলে ভেতরে নিয়ে যায়। তারপর থেকে এখানেই ভর্তি রয়েছি। ছুটি হওয়ায় স্বামীকে ছেলেরা বাড়ি নিয়ে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন