পাকড়াও: ধূপগুড়িতে স্কুলে ঢুকে পড়া সাপটিকে ধরছেন মিন্টু চৌধুরী। শুক্রবার। ছবি: রাজকুমার মোদক।
স্কুলের শ্রেণিকক্ষে সাপ দেখে আতঙ্ক ছড়াল পড়ুয়াদের মধ্যে। শুক্রবার ধূপগুড়ির ঝাড় শালবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর জেরে ব্যাহত হয় পড়াশোনা। স্কুল ঘরে সাপের উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসী স্কুলে এসে ভিড় জমান।
শুক্রবার স্কুল শুরু হওয়ার আগেই স্কুলের চতুর্থ শ্রেনির পড়ুয়ারা শ্রেনিকক্ষে ঢুকতে গিয়েই দেখে এক বিশাল সাপ ঘোরাফেরা করছে। স্কুলে সাপ ঢোকার খবর খবর পেয়ে আগেই চলে আসেন প্রধান শিক্ষক। তিনি এসে ক্লাসঘর বন্ধ করে পড়ুয়াদের মাঠে বসান। প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল রায় বলেন, “সাপের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটে আসি। চতুর্থ শ্রেনির কক্ষে সাপটি ছিল। সাপ দেখে বন দফতর ও সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরীকে খবর দিই।’’ মিন্টুবাবু এসে সাপটি ধরে নেওয়ার পর স্বস্তি ফেরে স্কুলে। স্কুলে সাপ থাকায় এক ঘণ্টা দেরিতে পড়াশোনা শুরু করতে হয়। প্রফুল্লবাবু বলেন, ‘‘তবে এই প্রজাতির সাপ আমি আগে দেখিনি।” মিন্টুবাবু সাপটি উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দেন। বন দফতর সাপটি খুট্টিমারি জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। মিন্টুবাবু বলেন, “লম্বায় ৬ ফুট সাপটি ‘ট্রিনকেট’ প্রজাতির। তবে স্থানীয়রা পঙ্খীরাজ বলে। অল্প বিষাক্ত এই সাপ এখন আর দেখা যায় যায় না। সাপটি কাউকে কামর দিতে গেলে দেড় ফুট উঁচু পর্যন্ত ঝাপিয়ে যায়। সাপটি এখন বিলুপ্তির পথে।’’