চটির গন্ধে কুকুর ধরল ফাঁদ, বন্দুক

কিছুদিন আগে আদমা পাহাড়ে বাইসন মেরে পালানো সময় বনকর্মীদের প্রতিরোধে ব্যাগ ফেলে পালায় চোরাশিকারিরা। সেই ব্যাগে মিলেছিল বাইসনের মাংস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৭
Share:

অস্ত্র: চোরাশিকারের সামগ্রী পেল বন দফতর। নিজস্ব চিত্র

জঙ্গলে চটি ফেলে গিয়েছিল চোরাশিকারিরা। চটির গন্ধ শুঁকেই প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে বনবস্তিতে হানা দেয় করিম। একটি বাড়ির কাছে গিয়েই চিৎকার শুরু করে বন দফতরের এই স্নিফার ডগ। বাড়িটি ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। উদ্ধার হয়, খরগোশ সহ ছোট বন্যপ্রাণী ধরার প্রচুর ফাঁদ। মেলে তির ধনুক ও একটি গাদা বন্দুক। বাড়ি মালিককে গ্রেফতার করে বনদফতরের কর্মীরা।

Advertisement

কিছুদিন আগে আদমা পাহাড়ে বাইসন মেরে পালানো সময় বনকর্মীদের প্রতিরোধে ব্যাগ ফেলে পালায় চোরাশিকারিরা। সেই ব্যাগে মিলেছিল বাইসনের মাংস। স্নিফার ডগ করিম মাংসের গন্ধ শুঁক বাইসনের মৃত দেহ উদ্ধার করে। পরে জঙ্গলের ভেতর চোরাশিকারির আস্তানা খুঁজে বার করে করিম। সেখান থেকে গাদা বন্দুক, শুয়োরের দাঁত সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়।

বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গরম তিন নম্বর কম্পার্টমেন্টে বনকর্মীদের নজরে আসে একটি চোরাশিকরির দলের। দশ বারোজনের একটি চোরাশিকারির দলটি বনকর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা করলে বনকর্মীরা পাল্টা শূন্যে গুলি চালায়। প্রতিরোধের মুখে পড়ে চোরাশিকারির দলটি চম্পট দেয়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে একটি গাদা বন্দুক উদ্ধার করেন।

Advertisement

খবর পেয়ে এগারোটা নাগাদ এডিএফও দুর্গাকান্তি ঝা এলাকায় যান। যায় স্নিফার ডগ করিমও। তল্লাশি চালিয়ে সেখানে চোরাশিকারিদের ফেলে যাওয়া কয়েকটি চটি পাওয়া যায়। সেই গন্ধ শুঁকে প্রায় দুকিলোমিটার দূরে পোরো ডাবরি বস্তিতে যায় করিম। গন্ধ শুঁকে এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়ে করিম। ওই বাড়ি থেকেই প্রচুর ফাঁদ, তির ধনুক ও আরও একটি গাদা বন্দুক উদ্ধার হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, গত দুমাসে বনকর্মীদের কড়া নজরদারি ফল মিলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন