দুরুদুরু বুকেই মণিকার টানে ভিড়

এ দিন রাতে শীলতোর্সার পাড়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন অভিনেত্রী মণিকা বেদী। তাঁর অভিনয় জীবনের চেয়ে অন্ধকার জগতের সঙ্গে তাঁর পুরনো সর্ম্পক নিয়েই যেন বেশি ফিসফিসানি শোনা যাচ্ছিল জলসার রাতে।

Advertisement

নারায়ণ দে

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৮
Share:

উৎসুক: মণিকা বেদীকে দেখতে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

রোজই রাত দশটা বাজতেই খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েন বছর পঞ্চাশের শীলতোর্সার পঞ্চানন সরকার। কিন্তু এই রবিবার তা করেননি। খেয়েদেয়েই চ়়ড়ে বসেছিলেন সাইকেলে। শীলতোর্সা নদীর পাড়ে রাতের জলসাই এই অনিয়মের কারণ? প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেললেন তিনি। বলেন, ‘‘মণিকা বেদী বলে কথা। ডি কোম্পানির সঙ্গে ওঠাবসা ছিল শুনেছি।’’

Advertisement

ওই এলাকারই বাসিন্দা সুলেমান মিঁয়া। বছর পয়তাল্লিশের উপরের বয়সের সুলেমানের মনে রয়েছে নায়িকা মণিকা বেদীর সিনেমা। কিন্তু এতদিন পরে সেই সিনেমার টান ফিকে হয়ে গিয়েছে। বর‌ং মণিকা বেদী বলতে আবু সালেমের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যপারে শোনা নানা গল্পই মনে পড়ে তাঁর।

রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার শীলতোর্সায় এরকমই নানা টুকরো ছবি ভেসে উঠল। এ দিন রাতে শীলতোর্সার পাড়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন অভিনেত্রী মণিকা বেদী। তাঁর অভিনয় জীবনের চেয়ে অন্ধকার জগতের সঙ্গে তাঁর পুরনো সর্ম্পক নিয়েই যেন বেশি ফিসফিসানি শোনা যাচ্ছিল জলসার রাতে।

Advertisement

রাত সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান। চলেছে বেশ গভীর রাত পর্যন্ত। সেখানেই রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এসে পৌঁছেছিলেন মণিকা বেদী। আধঘণ্টা থেকে ফের চলে যান তিনি। গোটা সময়টা উৎসাহ দেখিয়েছেন দর্শকরা। ভিড়ও জমেছিল ভালই। তবে তা দূর থেকেই। কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেননি কেউ। নিজস্বী তোলার হুড়োহুড়িও ছিল না বললেই চলে। অনুষ্ঠানে এসছিলেন বছর কুড়ির স্থানীয় এক কলেজ পড়ুয়া। তাঁর হাতের স্মার্ট ফোন নিয়ে নিজস্বীও তুলছিলেন। নায়িকার সঙ্গে নিজস্বী তোলার ইচ্ছে নেই? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওনার অতীত নিয়ে যা শুনেছি। আর সাহস হয়নি। এমনি ছবিই যথেষ্ট।’’

মুম্বইয়ের ডন আবু সালেমের সঙ্গে একসময় যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রী মণিকা বেদীর। পরবর্তী কালে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল তাঁকে। রুপোলি পর্দায় এক সময় সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত, সুনীল শেট্টিদের মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। মণিকা বেদী জানান, তিনি আগেও বাংলায় এসেছেন স্টেজ শো করতে।’’ কিন্তু যাকে নিয়ে এত ফিসফাস। তাঁকে তাঁর অতীত নিয়ে প্রশ্ন করতেই ক্ষুব্ধ হলেন তিনি। বিরক্তির সঙ্গে জানিয়ে দেন, ওই সব নিয়ে কোনও কথা বলতে চান না।

মণিকা বেদীর জন্য পুলিশি সুরক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন