English Bazar

‘বিধায়ক এলে ঝাঁটাপেটা করব’, দু’মাস জলমগ্ন ইংরেজবাজার, হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা। প্রায় দু’মাস হয়ে গিয়েছে, এখনও জল জমে রয়েছে। আর ভোটে জেতার পর বিজেপি বিধায়ক এক বারও এলাকায় আসেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৯
Share:

জলে দাঁড়িয়ে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহিলাদের। —নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির মূল দরজা খুললেই টলটল করছে জল। গত দু’মাস ধরে কখনও হাঁটুজল তো কখনও কোমর সমান জলে যাতায়াত করছেন মালদহের ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলোনি এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, এক বারও বাসিন্দারা কী ভাবে রয়েছেন, এলাকার পরিস্থিতি কী তার খোঁজ নেননি স্থানীয় বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। সোমবার হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে এলাকার মহিলাদের হুঁশিয়ারি, ‘‘বিধায়ক এলাকায় ঢুকলে ঝাঁটাপেটা করা হবে।’’ তাঁদের অভিযোগ, বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা। প্রায় দু’মাস হয়ে গিয়েছে, এখনও জল জমে রয়েছে। আর ভোটে জেতার পর বিজেপি বিধায়ক এক বারও এলাকায় আসেননি। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, এগুলো পঞ্চায়েতের কাজ। আর ওখানে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছে তৃণমূলই।

Advertisement

এক মহিলা বাসিন্দার কথায়, ‘‘সামনেই দুর্গাপুজো। কিন্তু আমাদের এখানে আনন্দ নেই। চরম ভোগান্তিতে রয়েছি।’’ সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামী প্রশান্ত দাসের দাবি, গত লোকসভা ভোটেই শেষ বার দেখা পাওয়া গিয়েছিল ইংরেজবাজারের বিধায়ককে। প্রশান্ত বলেন, ‘‘উনি ভোট চাইতে এলাকায় এসেছিলেন। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর আর কেউ ওঁদের দেখেননি। এখন এলাকায় হাঁটুজল জমে রয়েছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই জল বার করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আর পুজোর পরেই রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। কিন্তু এলাকার বিধায়কের কোনও দায়িত্ব থাকবে না?’’

ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য কাজল ঘোষ অভিযোগ করেন, বিজেপি বিধায়ক এলাকায় ঢুকলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়ককে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজে তো আমরা তাকে দেখতে পাইনি।’’ তবে জমা জল নিয়েও তৃণমূল রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির যুক্তি, ‘‘এলাকা জলমগ্ন হলে তা দেখা, সেখানে কাজ করা তো সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের কাজ। সবই তো তৃণমূলের। এ ভাবে বিধায়কের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement