লাঠির ঘা ছেলের, মৃত্যু বাবার

প্রতিবেশীদের দাবি, অঞ্জিত মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল, নেশাও করত। তার চিকিৎসার জন্য বাবা চুন্নু ওঁরাও (৮০) জমি-বাড়ি বিক্রি করে চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৪৩
Share:

শোক: নীলি ওঁরাও। নিজস্ব চিত্র

ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। সোমবার সকালে শিলিগুড়ির প্রধাননগরের চম্পাসারি এলাকার বাবুবাসায় ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকার বাসিন্দাদের একটি অংশের সন্দেহ পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। ঘটনায় ছেলে অঞ্জিত ওঁরাওতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার বাবা চুন্নু ওঁরাওকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

প্রতিবেশীদের দাবি, অঞ্জিত মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল, নেশাও করত। তার চিকিৎসার জন্য বাবা চুন্নু ওঁরাও (৮০) জমি-বাড়ি বিক্রি করে চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন। মাঝেমধ্যে অঞ্জিতকে হোমে রেখেও চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। যখন বাড়িতে থাকত তখন মাঝেমধ্যেই বাবা-মার উপর সে চ়ড়াও হত বলে পড়শিদের দাবি। চুন্নু ওঁরাও নিজেও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ওই পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো ছিল না। আগে অনেক জমি থাকলেও চিকিৎসার প্রয়োজনে তা বিক্রি করতে করতে মাত্র কয়েক ছটাকে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন আত্নীয়রা।

এ দিন সকালে চুন্নুবাবু ঘরেই শুয়ে ছিলেন। অভিযোগ তখনই অতর্কিতে হামলা চালায় অঞ্জিত। চুন্নুবাবুর স্ত্রী নীলি ওঁরাও বলেন, ‘‘আমি বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তখনই লাঠি দিয়ে ওর বাবাকে মারতে থাকে আমার ছেলে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় অঞ্জিত।’’ স্থানীয় বাসিন্দা সুরেন ছেত্রী বলেন, ‘‘সকালে ওই ঘটনার কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এই এলাকায় এমন ঘটনা এর আগে হয়নি।’’ চুন্নুবাবুর এক আত্মীয় অনু মার্ডির দাবি, ‘‘অঞ্জিত মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। আর কোনও কাজ করত না। অনেক পয়সা খরচ করেও ওই পরিবার ছেলেকে সুস্থ করে তোলা যায়নি।’’

Advertisement

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অঞ্জিত দু’বছর আগে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রায়শই ওই বাড়িতে গোলমাল হত বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। পাড়ার লোকজন ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হয়নি বলে তাঁদের দাবি। মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। লাঠি জাতীয় কিছুর আঘাতেই ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন