দল থেকে ‘বহিষ্কার’ বিক্ষুব্ধ সোনাকে

বালুরঘাট পুরসভার সুবর্ণতটের সভাগৃহে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং গঙ্গারামপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রকে পাশে নিয়ে বিপ্লব অভিযোগ করেন, ‘‘দলে থেকে সোনা তাঁর মা এবং দাদাকে কংগ্রেসের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ১০:৫৮
Share:

সোনা পাল। ফাইল চিত্র

একেই গোঁজের বিড়ম্বনা। তার উপরে বিরোধী দলের হয়ে প্রচারের অভিযোগ উঠেছিল হরিরামপুরের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা সোনা পালের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তুলে সোনাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। সোনা অবশ্য ওই সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেছেন।

Advertisement

বালুরঘাট পুরসভার সুবর্ণতটের সভাগৃহে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং গঙ্গারামপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রকে পাশে নিয়ে বিপ্লব অভিযোগ করেন, ‘‘দলে থেকে সোনা তাঁর মা এবং দাদাকে কংগ্রেসের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কংগ্রেসের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার করছেন। এ সমস্ত কিছুর ভিডিও আমাদের কাছে আছে। ফলে রাজ্য কমিটির নির্দেশে তাঁকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হল।’’ সোনা অবশ্য বলেন, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল করি। বিপ্লববাবুর সিদ্ধান্ত মানি না।’’

জেলায় পঞ্চায়েত আসনে দলের নির্দেশ অমান্য করে অনেকে গোঁজ প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি তপন ব্লকে দলের বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার অনুগামী একাংশকে শেষ পর্যন্ত প্রতীক না দেওয়ার অভিযোগে তিনিও ক্ষুব্ধ। মনোনয়ন প্রতাহ্যারের পর থেকে বাচ্চুকে তপনে ভোট প্রচারে দেখা যাচ্ছে না বলে নালিশ উঠেছে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁর ‘প্রতিহিংসাপরায়ণতা’-র প্রকাশ্য মন্তব্যে বিপ্লব-বাচ্চুর বিরোধও ফের সামনে এসেছে। তার উপরে সোনার বহিষ্কারে ভোটের মুখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছবে বলে দলের ভিতরেই আলোচনা শুরু হয়েছে। সোনাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাচ্চুও মানতে পারেননি বলে দলসূত্রের খবর।

Advertisement

সোনার বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী আমাকে জেলা কমিটির সদস্য করেন। অথচ আমি যে তৃণমূলের কেউ নই, তা বোঝাতে বিপ্লববাবু দলের একটি বৈঠকেও আমাকে ডাকেননি। পঞ্চায়েতেও কোনও দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়নি।’’ বিপ্লবের পাল্টা দাবি, ‘‘সব সময়ে দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে সোনা দলকে হেয় করেছে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেবল সোনা নন, দলের নির্দেশ অমান্য করে যাঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন