Indian Railways

বোনাস না হলে বন্ধ কাজ হুঁশিয়ারি রেলে

রেলকর্তাদের দাবি, সব জায়গাতেই বিক্ষোভ হয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এলাকায় বিক্ষোভ নিয়ে তাঁরা উপরমহলে জানাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বোনাস না পেলে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল মজদুর ইউনিয়ন। মঙ্গলবার এনজেপি-র এরিয়া অফিসে বিক্ষোভ দেখায় সংগঠনের অন্তত ২০০ কর্মী। অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেন ফেডারেশনের তরফে দেশের সব স্টেশনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের নেতাদের দাবি, এ ব্যাপারে বুধবারের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে শিলিগুড়ি, এনজেপি ছাড়াও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সব এলাকায়। রেল সূত্রে খবর, গত ১৫ দিন আগে বোনাস দিলে আপত্তি নেই জানিয়ে রেলবোর্ডের তরফে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকে নথি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

রেলের নয়া বোনাস নীতি অনুসারে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা বোনাস পাওয়ার অধিকারী। প্রতি বছর তা চতুর্থীর মধ্যে চলে আসে। এবার আসেনি। তার প্রতিবাদেই এ দিন এনজেপি এরিয়া অফিসে বিক্ষোভ দেখায় সংগঠন। মজদুর ইউনিয়নের এনজেপি শাখার সম্পাদক সৌম্যদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘বাড়তি মালগাড়ি চালিয়ে রেল গত বছরের তুলনায় অন্তত ১৫ শতাংশ বেশি টাকা ইতিমধ্যেই লাভ করেছে। কিন্তু যাত্রী ট্রেন বন্ধ করে রেখে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, অবস্থা খারাপ। দেড় বছর মহার্ঘ্যভাতা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু বোনাসটা ন্যায্য।’’

রেলকর্মীদের দাবি, এই বোনাস গত অর্থবর্ষের। অর্থাৎ, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের। তখন তো করোনা ছিল না। তা হলে? এ ব্যাপারে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘বোনাসের সিদ্ধান্ত রেলবোর্ডে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আমরা কোনও কথা বলতে পারি না। বোর্ডের তরফে বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি।’’ রেলকর্তাদের দাবি, সব জায়গাতেই বিক্ষোভ হয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এলাকায় বিক্ষোভ নিয়ে তাঁরা উপরমহলে জানাবেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকায় অন্তত ১ লক্ষ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী রয়েছেন।

Advertisement

বোনাস না হলে কেবল ওই কর্মীরাই নন, রেলের অন্য কর্মীরাও কাজ বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। অথচ ২১ অক্টোবর থেকেই আরও বেশ কিছু স্পেশ্যাল এবং পুজোর ট্রেন চালু হচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকাতেও। কাজ বন্ধ হলে কী হবে? তা নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে পারছেন না রেলের কর্তারা। সূত্রের দাবি, দেশজোড়া এই বিক্ষোভের পর রেলবোর্ড বা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন