Narendra Modi

মোদীর মন্ত্রিসভায় কি উত্তর থেকে নতুন মুখ?

রাজ্য থেকে কে কে ডাক পেতে চলেছেন, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৮:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা আবহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা। এবং বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে মন্ত্রিসভায় কিছু রদবদল হতে পারে, যেখানে বঙ্গের শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনাও প্রবল।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য থেকে কে কে ডাক পেতে চলেছেন, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।

রাজ্য থেকে এবারে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিই দখল করেছে বিজেপি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিই। পাশাপাশি, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই রাজ্য থেকে অন্তত আরও একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শামিল হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই তালিকায় যদি উত্তরবঙ্গের কেউ থাকেন, তাহলে সেই দৌড়ে কে এগিয়ে আছে?

Advertisement

উত্তরবঙ্গের সাংসদদের মধ্যে মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুকে এবার সাংগঠনিক দায়িত্বে আনা হয়েছে। তাঁকে বিজেপির তফসিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে আর কোনও দায়িত্ব তাঁকে নাও দেওয়া হতে পারে। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হিসেবে জয়ী হলেও তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরে ঠিক সুবিধে করে উঠতে পারেননি। তৃণমূলের দাপট সেখানে অনেকটাই অক্ষুণ্ণ। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে দলের প্রভাবশালী নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। তিনি দার্জিলিংয়ে থাকেন না, মাঝেমধ্যে সেখানে যান, এই কটাক্ষ করে বিরোধীরা তাঁকে ‘পরিযায়ী সাংসদ’ হিসেবেই তোপ দাগতে শুরু করেছেন।

জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় মানুষ হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। তাঁর নামে কোনও অভিযোগ কখনও শোনা যায়নি। তাঁর স্বভাবের জন্য বিরোধীরাও তাঁকে সম্মান করেন। কিন্তু তাঁর সব থেকে বড় ‘মাইনাস পয়েন্ট’, তিনি তেমন বাকপটু নন। সেক্ষেত্রে সংগঠন বা দল এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্যা হতে পারে। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা এবং কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক রয়েছেন দৌড়ে।

বার্লা চা বাগান এলাকার দাপুটে নেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন। চা বাগানে সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে তাঁর ধারেকাছে শাসক দলের কোনও নেতাকেও রাখা যায়নি। এ ছাড়া, তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা হওয়া তাঁর একটি ‘প্লাস পয়েন্ট’। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীরা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। যদিও তা

প্রমাণিত নয়।

অন্যদিকে, নিশীথ রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ। বয়সেও তরুণ। কোচবিহার তো বটেই, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় তাঁর সংগঠন গড়ে তোলার দক্ষতা রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের শক্ত ঘাঁটি কোচবিহারে জয়ী হয়েছেন।

কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ বলেন, “আমি ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ। এটাও বড় পাওনা। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছে।” বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ বার্লা বলেন, “আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই। তবে দল এতদিন যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করে যাব। আগামীদিনেও তা করে যাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন