বর্ণময় এই প্রভাতফেরি করে বসন্তোৎসব করল জলপাইগুড়ির ‘মুক্তাঙ্গন’। পাশাপাশি রঙের উৎসবে মেতে উঠেছিল শহরের ‘ভ্রমর’ নাট্যসংস্থা। ‘বেদ পুরাণ বাইবেল কোরাণ’ সম্মেলক প্রার্থনা সঙ্গীতে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। মঞ্চস্থ হয় জয় গোস্বামীর বেণীমাধব কবিতা অবলম্বনে একটি নাটক। নাট্যরূপ দিয়েছেন অরিন্দম দাস। পাপড়ি দেবের কণ্ঠে ‘আজ কৃষ্ণচূড়ার আবির নিয়ে, বাতাস খেলে হোলি’ অনবদ্য পরিবেশনা। ‘ফাগুনের ও মোহনায়’ এবং ‘রাঙা মাটির পথে লো’ গান দুটির সঙ্গে সম্মেলক নৃত্য পরিবেশন করেন সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা। মালদহের ভরতাঞ্জলি নৃত্য সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত বসন্তোৎসবে প্রভাতফেরিতে পা মেলান দু’ হাজার আবালবৃদ্ধবনিতা। মূল অনুষ্ঠানটি হয় শুভঙ্কর উদ্যানে। ‘মালদা অন্বেষণ’ এবং ‘অন্বেষণ’ সংস্থার যৌথ পরিবেষণায় ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’, একটুকু ছোঁয়া লাগে’, ঝর ঝর ঝরে রঙের ঝর্ণা’ বসন্তের গানগুলির সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন আয়োজক সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা। তপন পণ্ডিত ও অতসী পণ্ডিতের যুগ্ম নৃত্যটি ছিল মনোমুগ্ধকর।
লেখা ও ছবি: অনিতা দত্ত।