Chopra Incident

চোপড়ায় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন, বিতর্ক

এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ চেতনাগছে পৌঁছয় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দলের সদস্যেরা। তাঁদের দেখে আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যেরা ও স্থানীয় মানুষজন।

Advertisement

অভিজিৎ পাল

চোপড়া শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৪
Share:

চোপড়ার প্রতিবাদ ধর্নামঞ্চে মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, বিধায়ক হামিদুল রহমান ও তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। —নিজস্ব চিত্র।

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিতর্কিত নালায় মাটি চাপা পড়ে চার নাবালকের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে আমরা বিনম্র ভাবে আবেদন জানাতে পারি, এখানে আসার জন্য। যদি সারা রাজ্যেরই রাজ্যপাল হন উনি, যদি সন্দেশখালি ওঁকে ভাবাতে পারে, তা হলে চোপড়া নয় কেন?’’ রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের দলদাসের মতো কথা বলছে। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর-সহ রাজ্য জুড়ে যখন নাবালিকারা যখন অত্যাচারের শিকার কিংবা খুন হয়, তখন রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে বাঁচাতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন নীরব থাকে।’’ সাংসদের সংযোজন: ‘‘চোপড়ার ঘটনা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। রাজ্যপাল কখন, কোথায় যাবেন, তা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন ঠিক করতে পারে না।’’ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকার ঘটনায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কমিশনের প্রতিনিধি দলের কথাবার্তা হয় বলে সূত্রের খবর। বৈঠকে নালা কাটা প্রসঙ্গে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে কমিশনের তরফে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় বলে দাবি।

Advertisement

এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ চেতনাগছে পৌঁছয় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দলের সদস্যেরা। তাঁদের দেখে আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যেরা ও স্থানীয় মানুষজন। এ দিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রথমে চোপড়া থানায় যায় এবং পরে গ্রামে পৌঁছয়। প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা নালাটি ঘুরে দেখেন। নাবালকেরা কী ভাবে মাটি চাপা পড়ল, কী ভাবে উদ্ধারকাজ হয়েছিল, সে সব বিষয়ে খোঁজখবর নেন। গ্রামবাসীরা কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে তাঁদের বক্তব্য জানান। কমিশনের প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা তাঁদের পর্যবেক্ষণ রাজ্য সরকারকে জানানোর পাশাপাশি, কথা বলবেন কেন্দ্রের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে।

এ দিনও বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে ধর্না চলেছে তৃণমূলের। ধর্নার দ্বিতীয় দিনে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। সেই ধর্না-মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, বিধায়ক হামিদুল রহমান, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল-সহ আরও অনেকে। এ দিন গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘এত বড় ঘটনা। অথচ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না!’’ বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘এখনও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনও রকম বার্তা মিলল না। আমরা চাই, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণ, চাকরির ব্যবস্থা।’’

Advertisement

এ দিন ধর্নায় পাশ্বর্বতী নানা এলাকার মানুযও ভিড় করেন। দিনভর চলে বিক্ষোভও।মন্ত্রী রব্বানি বলেন, ‘‘কলকাতা পৌছে দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিশদে সব জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন