সেবক রোডে অ্যাপলের স্টোরে চুরি

সকালে কর্মীরা শোরুমে যেতেই বিষয়টি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে ৫০০ মিটার দূরের পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। ডিসি, এসসিপি-সহ একাধিক পুলিশ অফিসারেরা তদন্তে আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২০
Share:

খালি: চুরির পরে অ্যাপলের ওই দোকান। নিজস্ব চিত্র

লক ভেঙে লোহার সাটার বেঁকিয়ে দোকানে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার আইফোন এবং আইপ্যাড নিয়ে পালাল একদল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি থানার সেবক রোডের চার্চরোড মোড়ের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, সাটার ভাঙার পর দুষ্কৃতীরা কাচের দরজার নীচের লক কেটে শোরুমের ভিতরে ঢোকে।

Advertisement

সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী একজনই শোরুমের ভিতরে ঢোকে। টি-শার্ট, জিন্স ও জুতো পরা ছেলেটি আধ ঘণ্টার মধ্যে শোরুমের দেওয়ালের আলমারি ভেঙে আইফোন ও আইপ্যাড নামিয়ে নেন। অত্যন্ত দ্রুত প্যাকেট খুলে তা বড় ব্যাগে ভরে। তার পরে সাটারের তলা দিয়ে পালায়। ২৫ মিনিটের ‘অপারেশনে’ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার আইফোন ও আইপ্যাড চুরি হয়েছে বলে সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে।

সকালে কর্মীরা শোরুমে যেতেই বিষয়টি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে ৫০০ মিটার দূরের পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। ডিসি, এসসিপি-সহ একাধিক পুলিশ অফিসারেরা তদন্তে আসেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। ঘটনার পর থেকেই এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় সেবক রোডের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এলাকায় একাধিক বাজার, দোকানপাট, হোটেল ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার শোরুম রয়েছে। সম্প্রতি বিধানরোডের একটি ল্যাপটপ শোরুম থেকেও একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাইক চুরি হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনাই রাত ২টো থেকে ৫টার মধ্যে ঘটছে। পুলিশের নজরদারির অভাবেই এমন ঘটনাগুলি ঘটেছে। সেবক রোডের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের মুখপাত্র প্রদ্যুম্ন সিংহ বলেন, ‘‘পুজোর মুখের এমন ঘটনায় সবাই শঙ্কিত। পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে।’’

Advertisement

গত ১৮ অগস্ট একটি বাণিজ্যিক ভবনের নিচতলায় সেবক রোডে ‘অ্যাপল’-এর ওই এক্সক্লুসিভ স্টোরটির উদ্বোধন হয়। স্টোরের মূল গেটের বাঁ পাশেই দেওয়ালে থরে থরে আইফোন ও আইপ্যাড সাজানো থাকে। স্টোরের ম্যানেজার অজয় কানোরিয়া জানান, রাত ৩-৪০ মিনিট থেকে ৪-০৫ মিনিট অবধি চুরি হয়েছে। ৫টি আইপ্যাড আর ৪৫টি ফোন মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার চুরি হয়েছে। দুষ্কৃতীরা একটি ব্যাগ ও প্লাস্টিক ফেলে পালিয়েছে।

তদন্তকারী অফিসারেরা জানাচ্ছেন, প্রতিটি ফোনের আইএমই নম্বর সাইবার ক্রাইম থানার মাধ্যমে সার্ভারে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই ফোনে কোনও সিম ঢোকালেই বা ফোনটি খুললেই বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহ বলেন, ‘‘থানাগুলিকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন