কাজিয়ায় পুরসভা-পুলিশ

জলপাইগুড়ির রাস্তায় সিসি ক্যামেরা নেই পাঁচ মাসেও

পুরসভা ও পুলিশের টানাপড়েনে থমকে রাস্তায় ক্যামেরা লাগানোর কাজ। বাসিন্দাদের নিরাপত্তা বাড়াতে শহর জুরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে চায় জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ কোথায় কোথায় সেই ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন সে ব্যাপারে পুরসভার তরফে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানাকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১১
Share:

পুরসভা ও পুলিশের টানাপড়েনে থমকে রাস্তায় ক্যামেরা লাগানোর কাজ। বাসিন্দাদের নিরাপত্তা বাড়াতে শহর জুরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে চায় জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ কোথায় কোথায় সেই ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন সে ব্যাপারে পুরসভার তরফে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানাকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে৷

Advertisement

কিন্তু অভিযোগ, পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি থানা ৷ তাই গোটা বিষয়টিতে কোতোয়ালি থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুরসভার অন্দরে৷ যদিও পুলিশ কর্তাদের দাবি, পুরসভাকে তারা চিঠির উত্তর দিয়েছেন৷

গত জুলাই মাসে জলপাইগুড়ি শহরের নতুনপাড়া এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজার অস্ত্র দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা৷ অভিযোগ, সেখান থেকে রংধামালি এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করে সর্বস্ব লুঠ করে তারা৷

Advertisement

ভরসন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এমন একটি ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়৷ জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু সে সময় জানিয়েছিলেন, কাজের সূত্রে শহরের অনেক পুরুষ-মহিলাকেই রাত পর্যন্ত বাইরে থাকতে হয়৷ তাদের সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুরসভা শহর জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবে৷

জুলাই মাসের ওই ঘটনার পর শহরে আরো বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে৷ যার মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা, গত বৃহস্পতিবারের ৷ ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে এক গাড়িচালকের বিরুদ্ধে৷ ফের একবার শহরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, পুরসভা জুলাই মাসে শহর জুরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবার কথা বললেও এখনও কেন তা লাগানো হল না? মোহনবাবু বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরা পুরসভা লাগালেও তা নজরদারি করবে পুলিশ৷ সে জন্যই কোতোয়ালি থানার থেকে পরামর্শ চেয়ে বলেছিলাম কোন কোন জায়গায় ক্যামেরা লাগাতে হবে তা তারা জানাক৷ কিন্তু এত মাস পরেও কেন ওরা চিঠির উত্তর দিল না জানি না৷ জানালে পুরসভা এতদিনে ক্যামেরা বসিয়ে দিত৷’’

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি আশীষ রায় অবশ্য দাবি করেন, থানা থেকে পুরসভাকে চিঠির উত্তর দেওয়া হয়েছে৷ তবে কবে থানার তরফে সেই উত্তর দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর জবাব, ‘‘দেখে বলতে হবে।’’ পুরসভা থানাকে চিঠি দিয়েছিল কি না তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি৷ তাঁর দাবি, ‘‘আমরা নিজেরাই চাইছি শহরে ক্যামেরা বসাতে৷ সেজন্য ইতিমধ্যেই পুরসভার সঙ্গে আমাদের একদফা কথাও হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন