কালিয়াচক জুড়ে দুষ্কৃতীরাজ অনেকটাই দমন করা গিয়েছে বলে দাবি করে এ বার জালনোটের কারবার বন্ধে আরও বেশি তৎপর হওয়ার বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গের এডিজি নটরাজন রমেশবাবু।
বুধবার রাতে আলাদাভাবে কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এডিজি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কালিয়াচকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চরিঅনন্তপুর ও গোলাপগঞ্জে গিয়ে তিনি পুলিশ ও বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করেন। মালদহ জেলাতে যাতে বেআইনি পোস্ত চাষ ফের না হয় সেদিকেও নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে কালিয়াচকে একের পর এক খুন, গুলির লড়াই, বোমাবাজি, বেআইনি অস্ত্র ও জালনোটের কারবার সহ চুরি-ছিনতাই, তোলাবাজি, ডাকাতির মতো অপরাধের ঘটনা ঘটে। কালিয়াচক থানা পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোলাবাজি ও জোরজুলুম বন্ধে প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁরই নির্দেশে কালিয়াচকের দুষ্কৃতীরাজ বন্ধ করতে সাত মাস আগে জেলায় কয়েক দফায় বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ পুলিশের এডিজি নটরাজন রমেশবাবু। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে মালদহ জেলা তো বটেই এমনকী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অন্তত একশো পুলিশ অফিসার-কর্মীদের এনে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। স্পেশাল গ্রুপও তৈরি করা হয়। গোড়ায় সাফল্য না মেলায় কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর ও ইংরেজবাজার এই তিন থানার আইসিকে রাতারাতি বদলি করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, কালিয়াচকের ত্রাস বলে পরিচিত বকুল শেখ, জাকির শেখ, আসাদুল্লা বিশ্বাস সহ আরও অনেকে গ্রেফতার হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র, বোমা, গুলি, জালনোট। তবে নোট বাতিলের পরে মালদহে জাল নোটের কারবার কিছুটা থমকে থাকলেও ফের শুরু হয়েছে। নয়া দু’হাজারি নোট সহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে ইতিমধ্যে। তাই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ মহল।
রমেশবাবু এ রাতে বলেন, ‘‘পোস্ত চাষ রোখা গিয়েছে। জাল নোটের কারবার বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।’’