প্রতীকী ছবি
জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরিয়েছিলেন এক ছাত্র। আচমকাই হাতেনাতে ধরে ফেললেন জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের পদস্থ কর্তা ও পুলিশ। প্রকাশ্যে ধূমপান করার অপরাধে অভিযুক্তের কাছ থেকে আর্থিক জরিমানাও আদায় করা হয়। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিড়িতে সুখটান দিচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ। এগিয়ে গিয়ে তাঁকেও হাতেনাতে ধরে ফেলেন এই দলের সদস্যরা। তাঁর কাছ থেকে আর্থিক জরিমানা আদায় করা হয়নি বলে দাবি জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের পদস্থ কর্তাদের। তবে তাঁকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করতে বিশেষ অভিযানে পথে নামে।.
জলপাইগুড়ি শহরের জেলা সদর হাসপাতাল চত্বর ও সংলগ্ন এলাকা, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনের রাস্তা, বড়ো পোস্ট অফিস মোড়, পলিটেকনিক কলেজ লাগোয়া এলাকা, আনন্দ চন্দ্র কলেজের সামনের রাস্তা সহ বিভিন্ন এলাকায় তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতে অভিযান চালানো হয় বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জলপাইগুড়ির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের জেলা পরামর্শদাতা মহম্মদ আতাউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা এ দিন প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করার জন্য অভিযানে নেমেছিলাম। স্কুল ও কলেজের একশো গজের মধ্যে তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করতেও অভিযান চালিয়েছি। প্রকাশ্যে ধূমপান করার অপরাধে অভিযুক্ত ধূমপায়ীদের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি দোকান থেকে তামাক জাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করাও হয়েছে।’’
অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা জানান, এই ধরনের অভিযান চালানো হলেও বাস্তব পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটছে না।
সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জলপাইগুড়ি শহরেই নয়, জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি, মালবাজার, মেটেলী, ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা সহ জেলার সর্বত্রই এই ধরনের অভিযান চালানো হবে।