শুভেন্দু অধিকারী।
পুজোর পরেই আবার ইসলামপুরে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী, এ দিন জানালেন স্থানীয় বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল। তিনি জানান, পরিবহণমন্ত্রী তথা দলের উত্তর দিনাজপুরের পর্যবেক্ষক শুভেন্দুবাবু আগামী ২৭ অক্টোবর সভা করবেন ইসলামপুরে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, স্থানীয় ভাবে রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধারে এ বারে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে দল। তাদের আরও ধারণা, শুভেন্দু সভা করলে স্থানীয় কর্মীদের মনোবল বাড়বে।
দাড়িভিট কাণ্ডকে সামনে রেখে বিজেপি ঘর গোছাচ্ছে। এক দিকে তারা বিষয়টিকে জাতীয় স্তরে যেতে চাইছে, অন্য দিকে দাড়িভিটে আন্দোলনকারীদের পাশেও থাকছেন বিজেপির স্থানীয় নেতারা। ফল, এখনও স্কুল খোলা সম্ভব হয়নি। গত ৬ অক্টোবর ইসলামপুরে এই নিয়ে সভা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা। অথচ তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রীরা এলাকায় যেতে পারছেন না বলে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। দিলীপের সভার পাল্টা হিসেবেই শুভেন্দুর এই সভা, বলছে দলের একাংশ।
সভার কথা জানিয়ে বুধবার কানাইয়ালাল বলেন, ‘‘আমরা এলাকাবাসীদের সঙ্গেও কথা বলছি। স্কুল খোলার বিষয়ে মহকুমাশাসক উদ্যোগী হয়েছেন।’’ তৃণমূলের দাবি, দিলীপের সভার থেকে দশ গুণ বেশি লোক আনতে তৎপর দল। জেলার এক তৃণমূল নেতার কথায়, নিহত রাজেশ এবং তাপসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। রাজ্য সরকার ওই দুই পরিবারের পাশে রয়েছে। কিন্তু এই নিয়ে বিজেপি যে ‘নোংরা রাজনীতি’ করছে, তা মানুষ ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। অভিযোগ, বিজেপি স্কুল খোলাতে দিচ্ছে না। স্কুল খুলতে গেলে গেটে নিহতদের মায়েদের সামনে এগিয়ে দিচ্ছে। অথচ স্কুল খুলতে না পারলে এতগুলি ছেলেমেয়ের পড়াশোনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
যদিও বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক সুরজিৎ সেনের দাবি, ‘‘রাজনীতি তো তৃণমূলই করছে। তারা স্কুল খোলানোর চেয়ে সভা করতে বেশি উৎসাহী। প্রশাসনও আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ। তাই স্কুল চালু করতে পারছে না।’’
স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন, সভা, পাল্টা সভায় কি স্কুল খুলবে? এলাকার সচেতন বাসিন্দারা চাইছেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে স্কুলে পঠনপাঠন চালু করা হোক। প্রশাসন উদ্যোগী হোক। সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সমস্যার জট কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্রের অবশ্য দাবি, ‘‘স্থানীয় অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্কুল খোলা হবে। স্কুল খুলতে প্রয়োজনে সর্বদলীয় বৈঠক করা হবে।’’