প্রচারে: রায়গঞ্জের মিউনিসিপ্যাল পার্ক এলাকায় ২০ এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সুব্রত বক্সির সভা। নিজস্ব চিত্র
রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আবেগকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচার করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। অসুস্থ প্রিয়কে সামনে রেখেই কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করলেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ মিউনিসিপ্যাল পার্ক সংলগ্ন এলাকায় পুরসভার ২৪ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দুই তৃণমূল প্রার্থী কেয়া চৌধুরী ও অর্ণব মণ্ডলের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি। সেখানেই সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি সুস্থ থাকলে কংগ্রেসকে সিপিএমের কাছে দলের পতাকা বিক্রি করতে হত না। তিনি কখনওই কংগ্রেসকে সিপিএমের সঙ্গে চলতে দিতেন না। হয়তো এই দৃশ্য দেখতে হবে বলেই ঈশ্বর ওনাকে সুস্থ করছেন না। আমরা প্রিয়দার আদর্শকে শ্রদ্ধা করি। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’। রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি ও বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের নাম না করে তিনি বলেছেন, ‘‘বামেদের হঠাতে ২০০৯ ও ২০১১ সালে তৃণমূলের সমর্থনে রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমান বিধায়ক জয়ী হয়েছেন। ২০১৬ সালে সিপিএমের হাত ধরে সেই বিধায়ক ফের জয়ী হন। এ বারও পুরসভার ক্ষমতার ধরে রাখার স্বার্থে কংগ্রেস নীতি ও আদর্শ ভুলে গিয়ে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়ছে।’’
তাঁর দাবি, রায়গঞ্জ লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বাসিন্দাদের সমর্থনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার রায়গঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। মেডিক্যাল ও নার্সিং কলেজ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সুব্রতর বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা বিগত পাঁচ বছরে কী উন্নয়ন করেছে, তা বিশ্লেষণ করুক। রায়গঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলকে পুরবোর্ড গড়ার সুযোগ দিন।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের দাবি, প্রিয়বাবু সুস্থ থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না।