অঙ্কিত সরকার।—ফাইল চিত্র।
প্রিয় ফুটবলার মেসি। ময়দানে মেসি যে ভাবে হেলায় 'হিল ফ্লিক' করে গোল করে নিজের সেরাটা প্রমাণ করতেন, তেমনই তাঁর অন্ধভক্ত অঙ্কিত সরকারও ৯৮ শতাংশের বেশি নম্বর তুলে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় নিজের স্থান দখল করে নিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অঙ্কিত এ বছর মাধ্যমিকে ৬৮৮ নম্বর পেয়ে যুগ্ম ভাবে রাজ্যে সম্ভাব্য পঞ্চম।
পড়াশোনার প্রতি 'দখল' থাকায় একটু 'ফাঁকিই' দিতো অঙ্কিত। তার কথায়, "আমি একটু ফাঁকিবাজ। তাই বেশি পড়তাম না। পড়লে আরও ভাল রেজাল্ট হয়ত হতো।" অঙ্কিতের গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের বাগিচাপুরে। বুনিয়াদপুরে থেকে বংশীহারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষা দিয়েই মালদহের বাঁশবাড়ির বাড়িতে চলে যায় সে৷ সেখানে মা সুলতানা নার্গিস ও প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক বাবা ফিরোজ খানের সঙ্গে থাকত সে। সেখানে থেকেই ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি নিচ্ছে অঙ্কিত। অঙ্কিত বড় হয়ে চিকিৎসক হতে যায়। চলছে সেই প্রস্তুতি।
অঙ্কিত জানায়, বাড়িতে বাবা তাকে ইতিহাস পড়াতেন। বাকি বিষয়গুলির জন্য ছিল ৬ জন গৃহশিক্ষক। স্কুল, টিউশনির পাশাপাশি বাড়িতে যখন ইচ্ছা হতো তখনই সে পড়ত। দিনে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা পড়ত অঙ্কিত। শুধু পড়াশোনাই নয়, বই পড়া ও লেখালেখির উপরে তার আগ্রহ রয়েছে। অবসর সময়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মোটিভেশনাল স্পিচ রেকর্ড করে আপলোডও করে ফুটবল অন্তপ্রাণ অঙ্কিত।
অঙ্কিত বলে, "ভবিষ্যতে ডাক্তার হব। তাই এখন পাখির চোখ জয়েন্ট এন্ট্রান্স। আমি ভাবতে পারিনি মেধা তালিকায় স্থান পাবো। তবে রেজাল্ট ভাল হবে এটা জানতাম। বাবা, মা ছাড়াও স্কুলের শিক্ষকরা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।"
ছেলের এই সাফল্যে খুশি পরিবার। মা সুলতানা ও বাবা ফিরোজ বলেন, "ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আজ বড় খুশির দিন।"