গৌড়বঙ্গে নতুন রেজিস্ট্রার সুজিত

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ নিয়ে এখনও অবশ্য বিভ্রান্তি রয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আট দিনের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি উপাচার্যের কাছে সেই পদত্যাগপত্র জমাও দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:০৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হলেন অধ্যাপক সুজিত মণ্ডল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য এবং ভূগোল বিভাগের প্রধান। উপাচার্য শুক্রবার আগামী ৬ মাসের জন্য তাঁকে ওই পদে নিয়োগ করেন এবং এ দিনই তিনি কাজে যোগ দেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ নিয়ে এখনও অবশ্য বিভ্রান্তি রয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আট দিনের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি উপাচার্যের কাছে সেই পদত্যাগপত্র জমাও দেন। যদিও এ দিন উপাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন অচিন্ত্যবাবুর ওই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। তবে অচিন্ত্যবাবু জানিয়েছেন, ‘‘আমি ওই পদে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছি এবং তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ছিলেন শ্যামসুন্দর বৈরাগ্য। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন। সেই থেকে রেজিস্ট্রার পদটি ফাঁকাই ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, শ্যামসুন্দরবাবু চলে যাওয়ার পর স্থায়ী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের চেষ্টা হয়েছিল। দু’বার ওই পদে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। কিন্তু উপযুক্ত প্রার্থী না মেলায় সেই পদে কাউকেই নিয়োগ করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে এতদিন রেজিস্ট্রার হিসেবে উপাচার্য নিজেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তিনি কোনও কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকলে সেই দায়িত্ব সামলাতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট অফিসার। উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ রেজিস্ট্রার। সেই পদটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ফাঁকা। স্থায়ী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু উপযুক্ত প্রার্থী না মেলায় আমরা সেই পদে কাউকে নিয়োগ করতে পারিনি।’’

Advertisement

তবে উপাচার্য বলেন, ‘‘অচিন্ত্যবাবু ইস্তফা দিয়েছেন, কিন্তু আমি ওই ইস্তাফাপত্র গ্রহণ করিনি।’’ ৬ সেপ্টেম্বর ওই পদে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অচিন্ত্যবাবু। কিন্তু গত সোমবার দুপুরে চন্দন মণ্ডল ও ইনদাদুল ইসলাম নামে দুই অস্থায়ী কর্মীর হাতে তিনি নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। বুধবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন