'আমি আবার আসব এখানে' বললেন রজনীকান্ত

কার্শিয়াঙে একটি তেলুগু সিনেমার শুটিংয়ের এসেছেন রজনীকান্ত। এর মধ্যে সেই কাজে ঘুরে এসেছেন দার্জিলিংও। ৪০ দিন ধরে ওই ফিল্মের শুটিং হবে কার্শিয়াঙের ডাউ হিল, সেন্ট পলস স্কুল-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বৃহস্পতিবার রজনীর সঙ্গে দেখা করতে যান।

Advertisement

স্নেহাশিস সরকার

কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৮ ০১:১৪
Share:

রজনী ও মন্ত্রী।—বিশ্বরূপ বসাক

পাহাড়ে এসে অভিভূত রজনীকান্ত। এ দিন কার্শিয়াঙের গিদ্দা পাহাড়ের আশ্রমবস্তির একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসে ‘থালাইভা’ বলেন, ‘‘এখানে এসে আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছি। সিনেমার শুটিং শেষ হয়ে গেলে সারা দেশের দর্শক এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমি আবার আসব এখানে।’’ রাজনীতির প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘আমি শুটিং করতে এসেছি। রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করব না।’’

Advertisement

সুপারস্টারের ফিল্মের কারিগরি কর্মী কার্তিকেয়ন বলেন, ‘‘শুটিংয়ের কাজ স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। এ দিন বাইরে শুটিং না হলেও ইন্ডোর শুট হয়েছে।’’ সকাল থেকেই কার্শিয়াঙে আকাশের মুখ ভার ছিল। মেঘলা আকাশ এবং মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হওয়ায় আলোর অভাব দেখা দেয়।

কার্শিয়াঙে একটি তেলুগু সিনেমার শুটিংয়ের এসেছেন রজনীকান্ত। এর মধ্যে সেই কাজে ঘুরে এসেছেন দার্জিলিংও। ৪০ দিন ধরে ওই ফিল্মের শুটিং হবে কার্শিয়াঙের ডাউ হিল, সেন্ট পলস স্কুল-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বৃহস্পতিবার রজনীর সঙ্গে দেখা করতে যান।

Advertisement

গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। পাহাড়ে তাঁদের শুটিংয়ের কাজ ভাল ভাবেই এগোচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। আমরাও তাঁকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।’’ গৌতমের কথা, দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এলেও দার্জিলিং পাহাড় খুব ভাল লেগেছে রজনীর।

এ দিন কালো শার্ট, প্যান্ট এর ওপরে সাদা শাল গায়ে চাপিয়ে ছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার। তার জন্য ওই বিলাসবহুল হোটেল তো বটেই, আশেপাশের বাসিন্দাদের মধ্যেও উৎসাহ কম ছিল না।

রিসর্টে যাওয়ার রাস্তার পাশেই অনেকে বসেছিলেন সিনেমার পর্দার নায়ককে একবার চোখের দেখা দেখতে। ওই এলাকার বাসিন্দা এবং বিলাসবহুল হোটেলের সামনেই বাড়ি কুন্তল প্রধানের। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কয়েক দিন ধরেই রজনী এই রিসর্টে রয়েছেন। মাঝে মধ্যে মর্নিংওয়াকে বার হন। তখন আমাদের সঙ্গেও কথা বলেন।’’ তিনি জানান, ‘‘আমরাও তাঁকে এখানকার বিখ্যাত সাদা রঙের অর্কিড ফুল উপহার দিয়েছি। উনি ভীষণ খুশি হয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন