TMC rally on 21st July

বুকে দলের ব্যাজ ঝুলিয়েই ট্রেনে 

২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে প্রতি বছরেই আলিপুরদুয়ার থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় যান। এ ক্ষেত্রে মূলত কলকাতাগামী ট্রেনগুলিতেই ওঠেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:২৩
Share:

গন্তব্যে: আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ট্রেনে কলকাতায় রওনা তৃণমূল কর্মীদের। মঙ্গলবার। ছবি: নারায়ণ দে।

কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে লোক নিয়ে যেতে আজ, বুধবার আলিপুরদুয়ার থেকে বিশেষ ট্রেন ছাড়বে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তার অপেক্ষায় না থেকে সমাবেশে যোগ দিতে মঙ্গলবার থেকেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা হতে শুরু করলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। অভিযোগ, যাঁদের অনেকেই টিকিট না-কেটে, স্রেফ বুকে দলের ব্যাজ ঝুলিয়েই এ দিন কলকাতাগামী বিভিন্ন ট্রেনে উঠে পড়েন। তবে সে কথা মানেননি দলের নেতারা।

Advertisement

২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে প্রতি বছরেই আলিপুরদুয়ার থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় যান। এ ক্ষেত্রে মূলত কলকাতাগামী ট্রেনগুলিতেই ওঠেন তাঁরা। এ বছর জেলা থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় নিয়ে যেতে বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়। যদিও এ দিন সকাল পর্যন্ত দলের নেতারা জানিয়েছিলেন, কাল, বৃহস্পতিবার ওই ট্রেন নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে। কিন্তু বিকেলে দলের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার নয়, বুধবারই বিশেষ ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার থেকে ছাড়বে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “দলের কর্মী-সমর্থকেরাই চাইছিলেন এক দিন আগে ট্রেনটি ছাড়ুক। যাতে কলকাতায় পৌঁছে তাঁরা একটু বিশ্রাম নিয়ে দলের সমাবেশে যোগ দিতে পারেন। সে জন্যই বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে বুধবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার থেকে বিশেষ ট্রেনটি ছাড়বে।”

Advertisement

এ দিন থেকেই অবশ্য কলকাতাগামী বিভিন্ন ট্রেনে কলকাতায় রওনা দেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন স্টেশন থেকে তৃণমূলের কোচবিহারের কর্মী-সমর্থকদের একাংশকেও এ দিন কলকাতাগামী ট্রেন ধরতে দেখা যায়। কিন্তু অভিযোগ, দুই জেলার কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশই টিকিট না-কেটে ট্রেনে চাপেন। বদলে স্রেফ বুকে ব্যাজ ঝুলিয়ে নেন। আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে কলকাতায় রওনা হওয়া বনচুকামারির বাসিন্দা তৃণমূলকর্মী জনার্দন রায় দাবি করেন, “স্টেশনে পৌঁছনোর পরে দলের নেতারা জানান, টিকিট কাটার প্রয়োজন নেই। বদলে একটি ব্যাজ হাতে ধরিয়ে বুকে ঝুলিয়ে নিতে বলেন। তাই টিকিট কাটিনি।।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “এমন কথা বলা উচিত নয়। আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রত্যেকে এ দিন টিকিট কেটেই কলকাতাগামী ট্রেনে উঠেছেন।”

অন্য দিকে, এ দিন তৃণমূল মাদারিহাটে তৃণমূল নেতা দীপনারায়ণ সিংহের নেতৃত্বে ২১ জন দলীয় কর্মী হাসিমারা স্টেশন থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে কলকাতায় রওয়া দেন।

দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকেও কয়েকশো কর্মী-সমর্থক কলকাতায় রওনা দেন। এ দিন দিনহাটার সীমান্ত স্টেশন বামনহাট, দিনহাটা স্টেশন থেকে পাঁচ শতাধিক কর্মী-সমর্থক কলকাতায় রওনা দেন। বামনহাট স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়া দলীয় কর্মীদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন