‘অধিকার যাত্রা’-র সমাপ্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
“কেন্দ্রে মোদী, রাজ্যে দিদি, মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবন-জীবিকার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে দুই সরকার”। সোমবার বিকেলে মালদহের বৃন্দাবনী মাঠে বেঙ্গল প্ল্যাটফর্ম অব মাস অর্গানাইজেশনের (বিএমপিও) আহ্বানে উত্তরবঙ্গ ‘অধিকার যাত্রা’র সমাপ্তি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে এইভাবেই আক্রমণ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
তিনি বলেন, ‘‘এই দুই সরকার মানুষের বাঁচার আধিকার, মহিলাদের মর্যাদার অধিকার, কৃষকদের ফসলের দামের অধিকার, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর সেই আন্দোলনেরই সলতে পাকানো হল এই অধিকার যাত্রার মধ্যে দিয়ে।’’ তিনি জানিয়েছেন, এই উত্তরবঙ্গ অধিকার যাত্রা গত ১১ সেপ্টেম্বর কোচবিহার জেলা থেকে শুরু হয়েছিল। তারপর আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পঙ, দুই দিনাজপুর ঘুরে এ দিন মালদহে সেই পদযাত্রা শেষ হয়েছে। একই ভাবে আরও দু’টি অধিকার যাত্রা ফরাক্কা ও পুরুলিয়া থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ৩ তারিখ কলকাতায় সমাবেশ করে ওই দুই অধিকার যাত্রার সমাপ্তি হবে।
সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘রাজ্যবাসী গত সাত বছর ধরে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ও চার বছর ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দ্বারা প্রতারিত। গরিব মানুষদের দু’টাকা কেজি দরে চাল, সমস্ত মানুষকে রেশন কার্ড, শ্রমিকদের নানা সামাজিক সুরক্ষা প্রভৃতি পাইয়ে দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে বহু মানুষ বঞ্চিত। আমাদের সেই বঞ্চিত মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়ে সেই অধিকার আদায় করে দিতে হবে।’’ এই সমাবেশেও তিনি দাড়িভিট প্রসঙ্গ তোলেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ইসলামপুরের দাড়িভিটে পড়ুয়ারা কী দোষ করেছিল? তাঁরা বাংলা শিক্ষক চেয়েছিল। কিন্তু সেজন্য গুলি চালাতে হবে? প্রাণ কাড়তে হবে? রাজ্যে যখন এমন ঘটনা ঘটল তখন দেশের বাইরে থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলে দিলেন, পুলিশ গুলি চালায়নি। মুখোশ-পরা কিছু লোক গুলি চালিয়েছে। যদি মুখোশ-পরা লোক গুলি চালায় তবে পুলিশ সেখানে কী করছিল?’’