শিলিগুড়ি তথা দার্জিলিং জেলায় তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার শিলিগুড়ির বাঘা যতীন পার্কে দলের দার্জিলিং জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় তিনি ওই চ্যালেঞ্জ জানান। দার্জিলিং জেলায় পুরসভা, পঞ্চায়েত কোথাও জেতেনি তৃণমূল। পাহাড়েও নয়। সেখানে জিটিএ গঠিত হয়েছে। সে কথা তুলে ধরে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন শিলিগুড়ি তাঁর চাই। পুরসভা পাননি। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত প্রত্যেকটা নির্বাচনে হেরেছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ে পুরসভাগুলোতেও হেরেছেন। পাহাড়ে যখন নির্বাচন হয়েছিল গোর্খা হিল কাউন্সিলের সময় তখন হেরেছেন। এখন জিটিএ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘যদি হিম্মত আছে, পাহাড় যদি হাসছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চ্যালেঞ্জ রইল। একবার অবাধ শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করে মানুষের রায় নিন। বুঝতে পারবেন কী অবস্থা।’’ জিটিএ চুক্তি মতো পাহাড়ে পঞ্চায়েত হওয়ার কথা তো ছিল।
তাঁর অভিযোগ, শিলিগুড়ি পুরসভা পাননি বলে শুকিয়ে মারতে চাইছেন। বঞ্চনা করা হচ্ছে নানা ভাবে। শিলিগুড়ি পুরসভার দাবিদাওয়া নিয়ে সারা বাংলায় আন্দোলন, লড়াই হবে বলে জানান। এখানে মহকুমা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভার দিকে হাত বাড়ালে, ভাঙার চেষ্টা করলে সেই কালো হাত মুচড়ে দেওয়া হবে বলেও এদিন হুশিয়ারি দেন মঞ্চ থেকে।
সূর্যকান্তবাবুর বক্তব্য প্রসঙ্গ তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘গুরুত্বহীন কথা। এ সবের কোনও জবাব দিতে চাই না।’’
এদিন মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। সভায় সিপিএমের দার্জিলিং জেলার সভাপতি জীবেশ সরকাররাও জানান, না জিততে পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বঞ্চনা নিয়ে গোড়া থেকেই অভিযোগ তুলে আসছেন। এদিন অবশ্য তিনি সভায় ছিলেন না। দাদা মারা যাওয়ায় তিনি শহরের বাইরে রয়েছেন।