আক্রমণাত্মক প্রচারের পরামর্শ সূর্যের

এমন কাউকে সঙ্গে নিয়ে ভোট চাইতে যাবেন না যার মুখ দেখে বাড়ির লোকজন বিরক্ত হয়ে সপাটে দরজা বন্ধ করে দিতে পারেন—জলপাইগুড়ি পুর ভোটের প্রাক্কালে দলের প্রার্থীদের এমনই পরামর্শ দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৭
Share:

এমন কাউকে সঙ্গে নিয়ে ভোট চাইতে যাবেন না যার মুখ দেখে বাড়ির লোকজন বিরক্ত হয়ে সপাটে দরজা বন্ধ করে দিতে পারেন—জলপাইগুড়ি পুর ভোটের প্রাক্কালে দলের প্রার্থীদের এমনই পরামর্শ দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

Advertisement

শুক্রবার প্রচারে বামফ্রন্টের বক্তব্য কী হবে, কেমন করে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মন জয় করতে হবে তা নিয়ে আলোচনার জন্য এ দিন বিকেলে বামফ্রন্টের কর্মিসভার আয়োজন করা হয় রবীন্দ্রভবনে। সেখানেই সূর্যকান্তবাবু বলেন, “প্রার্থীদের প্রতিটি বাড়িতে যেতে হবে। কেউ তো একা যাবেন না। সঙ্গে অনেক লোকজন থাকবে। কিন্তু এমন কাউকে নেবেন না যাকে দেখে বাড়ির লোকজন বিরক্ত হবে। মুখের উপরে দরজা বন্ধ করে দেবে। কোথাও যেন পেশি শক্তির আস্ফালন না দেখা যায়।”

শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের বাছাই করা কর্মীদের সভায় উঠে আসে আলু চাষিদের সমস্যা, সারদা, রোজভ্যালি। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ভালই কথা হচ্ছে। সব তো জানতে পারি না। বুঝতে পারি। রাজ্যে বিজেপি দফতর রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করছেন। নির্বাচনী প্রচারে বামফ্রন্ট প্রার্থী ও কর্মীরা ওই বক্তব্য তুলে ধরবেন।”

Advertisement

সূর্যকান্তবাবু এ দিন কর্মীদের রাজনৈতিক প্রচারে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার পরামর্শ দেন। তাঁর কথায়, “এখন রক্ষণাত্মক ভুমিকার সময় নেই। রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণাত্মক হতে হবে। এক ইঞ্চি হলেও এগোতে হবে। তাঁর সতর্কতা, “রাজনৈতিক প্রচারে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার অর্থ মারামারি করা নয়। শত্রু শিবিরকে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঘায়েল করা।”

এ বার পুরসভা নির্বাচনে করতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে দ্রুত পৌঁছতে বামফ্রন্টের তরফে এসএমএস করে প্রচারের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সভার শেষ প্রান্তে কর্মীদের প্রতি নির্দেশিকা ঘোষণার সময় সিপিএমের সদর জোনাল কমিটির সম্পাদক জিতেন দাস জানান, এসএমএসের মাধ্যমে ভোটের প্রচার চালাতে হবে। প্রার্থীরা প্রতিটি ক্লাবে যাবেন। এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে পৃথকভাবে বসে ভোটের আবেদন জানাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন