Behrampore

Berhampore Murder Case: মাংসের দোকান খুলবে বলে দোকানদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছুরি কেনে সুশান্ত

খুনের ২৪ ঘণ্টা আগে মালদহের রথবাড়ি থেকে ছুরি কিনে বহরমপুরে গিয়েছিল সুশান্ত। আর অনলাইন থেকে ‘খেলনা পিস্তলটি’ সে কিনেছিল বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ০৫:২৯
Share:

গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ

মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ছুরি কেনে বহরমপুরে ছাত্রী খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী, এমনই দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, ছুরি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে সুশান্ত প্রথমে যোগাযোগ করে। নিজে মাংসের দোকান খুলবে বলে বিক্রেতাদের জানিয়েছিল সে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে মালদহে আসার পরে এমনই তথ্য জানতে পেড়ে হকচকিয়ে যায় তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, ছাত্রীকে খুনের ২৪ ঘণ্টা আগে মালদহের রথবাড়ি থেকে ছুরি কিনে বহরমপুরে গিয়েছিল সুশান্ত। আর অনলাইন থেকে ‘খেলনা পিস্তলটি’ সে কিনেছিল বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার ১০দিন পরে ছেলেকে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার। তবে পরিবারের কারও দিকে চোখ তুলে পর্যন্ত তাকায়নি সুশান্ত। তার দিদা মেনকা চৌধুরী বলেন, “নাতিকে কাছে পেয়েও জড়িয়ে ধরতে পারলাম না। সেও একবারও আমাদের দিকে চোখ তুলে পর্যন্ত দেখল না।”

বহরমপুরে মালদহের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের পরে ১০দিন কেটে গিয়েছে। তারপরেও ঘটনা নিয়ে কৌতুহল কমছে না কালিয়াচকের রাজনগর থেকে শহরের এয়ারভিউ কমপ্লেক্সই হোক কিংবা পুরাতন মালদহের খনি বাথানি গ্রামের মানুষদের। সুশান্তকে নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত মালদহে ঘুরে বহরমপুরের তদন্তকারী দলটি। নিহত ছাত্রীর শহরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। নিহত ছাত্রীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী বলেন, ‘‘২০১৭ সালে সুশান্ত সুতপাকে উত্যক্ত করায় মহিলা থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সেই সম্পর্কে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা খোঁজ নেন। তাঁদের সহযোগিতা করা হয়েছে।’’

Advertisement

যদিও সেখানে সুশান্তকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে তাকে শহরের রথবাড়ির বিচিত্রা বাজারে ছুরির দোকান এবং খনি বাথানি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সোমবার খুনের আগে রবিবার সকালে বাজার থেকে সুশান্ত ছুরি কিনেছিল। তার আগে বাজারের মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথাও বলে। খুন নিশ্চিত করতেই ভাল মানের ছুরি কেনার জন্যই মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে সুশান্তের যোগাযোগ করে।’’ পুলিশের দাবি, ‘‘সুতপাকে প্রকাশ্যেই খুন করার ছক ছিল সুশান্তের। বাধা দেওয়ার আশঙ্কা করেই সঙ্গে খেলনা পিস্তলটি সে রেখেছিল। আর প্রকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মতো দেখতে হবে ভেবে অনলাইনে সে খেলনা পিস্তলটি কিনেছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন