জেলায় শিশু চুরির অভিযোগ নিয়ে শোরগোল চলছেই। তার মধ্যে মধ্যরাতে শিশু ওয়ার্ডে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়লে চাঞ্চল্য ছড়ায় কোচবিহার জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। পুরো বিষয়টিতে রাতে শিশু ওয়ার্ডের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। শনিবার মহিষবাথানের দুই গৃহবধূর কাছ থেকে দুই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেছে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি। ওই দু’জন গ্রেফতারও হয়েছে। ফলে শিশু চুরির আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তার মধ্যেই জেলা হাসপাতালে এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে রোগীর পরিজনদের। ঘটনার জেরে শুক্রবার হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে শোকজ করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে কেন ব্যক্তিকে পুলিশে দেওয়া হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “নিরাপত্তা কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে বের করে দেন। তাদের তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছিল।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, দোতলায় শিশুদের নির্দিষ্ট ওয়ার্ড রয়েছে। রাতে রোগীর পরিজনেরা অনেকে যখন ঘুমিয়েছিলেন, তখন ওই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ওয়ার্ডের কয়েক জনের সন্দেহ হয়। তাঁর বক্তব্যেও অসঙ্গতি ছিল। এ ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছেন শিশু সুরক্ষা দফতরের কর্তারাও। পুলিশ জানিয়েছে, মহিষবাথানের দুই শিশু কন্যা উদ্ধারের ঘটনায় শিশু চুরি চক্রের কোন যোগসাজস রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।