জল সরবরাহের পাইপ পাতার কাজ নিয়ে বিতর্ক ওঠায় সেই টেন্ডারটি বাতিল করতে বাধ্য হল জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে জলপাইগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল৷ তবে তা মানেননি দলের নেতারা।
পুরসভা সূত্রের খবর, অম্রূত প্রকল্পে জলের পাইপ লাইন সরবরাহের একটি টেন্ডারকে ঘিরেই এই বিতর্ক৷ দিন কয়েক আগে জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে প্রায় ৫৩ কোটি টাকার এই টেন্ডারটি ছাড়া হয়৷
কিন্তু জলপাইগুড়ি পুরসভা যাদের অধীনে সেই তৃণমূল কংগ্রেসেরই ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার জল দপ্তরের চেয়ারম্যান পারিষদ সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, সৈকতবাবুকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই এই টেন্ডারটি ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু৷ যিনি জলপাইগুড়ির তৃণমূল টাউন কংগ্রেসের সভাপতিও৷ সৈকতবাবু আবার জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ৷
পুরসভা সূত্রের খবর, পুরসভা এই টেন্ডারটি ছাড়ার সময় সৈকতবাবু দলীয় একটি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় ছিলেন৷ তবে সেখানে বসেই এই খবর পান তিনি৷ এরপর গতকাল জলপাইগুড়িতে ফিরেই চেয়ারম্যানের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন৷ সৈকতবাবুর কথায়, “আমি পুরসভার জল দপ্তরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ৷ এ ধরেনের টেন্ডারের ক্ষেত্রে আমার উপস্থিতিতে পৌর পরিষদের বৈঠকে তা পাশ করাতে হয়৷ সেক্ষেত্রে আমারও সম্মতির প্রয়োজন ৷ অথচ, আমি নিজেই জানলাম না আর টেন্ডারটি ছেড়ে দেওয়া হল ৷” সৈকতবাবু জানিয়েছেন, “বিষয়টি আমার অদ্ভুত লেগেছে৷ আর তাই জলপাইগুড়িতে ফিরেই চেয়ারম্যানে কাছে এই এই বেআইনি টেন্ডার বাতিলের দাবি জানিয়েছি ৷ আমার প্রতিবাদের পরি চেয়ারম্যান তা বাতিল করে দিয়েছেন৷ এবং আমায় কথা দিয়েছেন, সব নিয়ম মেনেই নতুন করে টেন্ডার ছাড়া হবে ৷”
তবে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু জানিয়েছেন, “এম ই ডি-র তত্ত্বাবধানেই জল সরবরাহের এই টেন্ডারটি ছাড়া হয়েছিল ৷ তবে টেন্ডারটি ছাড়ার সময় টেকনিক্যালি কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছিল ৷ তাই এটি বাতিল করার সিদ্দান্ত নিয়েছি ৷ নতুন টেন্ডার খুব শীঘ্রই ছাড়া হবে ৷ এর পেছনে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় নেই ৷”